বিশ্বখ্যাত ২০১ গম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন করতে এসে বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রসাশন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেছেন, অসাধারণ সৌন্দর্যমণ্ডিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি আমার দেখা সবচেয়ে নান্দনিক।
শুক্রবার টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে নির্মাণাধীন এ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে তিনি আরও বলেন, এই পবিত্র মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার সুযোগ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি আমার দেখা সবচেয়ে নান্দনিক। দেশের সব স্থান থেকে মানুষ দলে দলে এখানে আসছেন। মহান আল্লাহতাআলা আমাদের সবাইকে কবুল করুন। মসজিদ নির্মাণ ও খেদমতে যারা আছেন তাদের সবার জন্য দোয়া করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গণি, স্থানীয় এমপি ছোট মনির, উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার, ইউএনও পারভেজ মল্লিক, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে এ মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মসজিদটি মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে। এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তার মা রিজিয়া খাতুন। ২০১৭ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণ কাজ এখনো চলছে। পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো এত সংখ্যক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ তৈরি হয়নি।
মসজিদের ছাদে ৮১ ফুট উচ্চতার একটি গম্বুজ রয়েছে। বড় গম্বুজের চারপাশে ছোট ছোট গম্বুজ আছে ২০০টি। প্রতিটির উচ্চতা ১৭ ফুট। মূল মসজিদের চার কোণায় রয়েছে ৪টি মিনার। প্রতিটির উচ্চতা ১০১ ফুট। পাশাপাশি আরও চারটি মিনার আছে ৮১ ফুট উচ্চতার। সবচেয়ে উঁচু মিনারটি মসজিদের পাশেই অবস্থিত। এর উচ্চতা ৪৫১ ফুট।
১৪৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪৪ ফুট প্রস্থের দ্বিতল এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের দেয়ালের টাইলসে অঙ্কিত রয়েছে পূর্ণ পবিত্র কোরআন শরীফ। যে কেউ বসে বা দাঁড়িয়ে মসজিদের দেয়ালে অঙ্কিত কোরআন শরিফ পড়তে পারবেন।
১৫ বিঘা জমির ওপর বিশাল মসজিদ ও মসজিদ কমপ্লেক্স অবস্থিত। মিহরাবের পাশে লাশ রাখার জন্য হিমাগার তৈরি করা হবে। এছাড়া মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে আলাদা ভবন। ওই ভবনে থাকবে দুঃস্থ নারীদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা।