লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে শিশুকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই তোফায়েলকে কারাগারে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে আহত শিশুর পিতা জামাল হোসেনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মুরগির খামার মালিক মো. তোফায়েলকে
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার কেরোয়া ইউপির মীরগঞ্জ বাজারের পাশে ইসমাইল বেপারির বাড়ির সামনে।
আহত শিশু মিনহাজ (৩) রায়পুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে থানায় মামলা করেছেন শিশুর পিতা দিনমজুর জামাল হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে শিশু মিনহাজ মীরগঞ্জ হাফেজি মাদ্রাসায় যায়। দুপুরে মাদ্রাসা ছুটি হলেও সে বাড়িতে না ফেরায় তার মা লাভলী বেগম বাড়ির সামনের মুরগির খামারে মিনহাজকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় চিৎকার দিতে শোনেন। পরে দৌড়ে গিয়ে আহতাবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করেন তার মা। তার মাথার পেছনের অংশে ও ঘাড়ে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে জখম করা ও গলায় দা লাগিয়ে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়। এ সময় চিৎকার দিলে খামার মালিক তোফায়েল পালিয়ে যায়।
এছাড়াও খামারি তোফায়েল গত তিন বছর মিটারে না নিয়ে সরাসরি খাম্বার মাধ্যমে অবৈধ সংযোগ দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছেন।
এ ঘটনা জানতে চাইলে অভিযুক্ত মুরগির খামারি তোফায়েল বলেন, খামারের দরজার তালা চুরি করায় শিশু মিনহাজকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ভয় দেখিয়েছি। অন্য কিছু করি নাই। বিদ্যুৎ অফিস থেকে অনুমতি নিয়েই মিটার ছাড়াই খাম্বা থেকে সংযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক সংবাদ পেয়েই ওই রাতে শিশু নির্যাতনকারী তোফায়েলকে তার বাড়ির খামার থেকে আটক করা হয়। শুক্রবার সকালে শিশুর পিতার মামলায় তোফায়েলকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।