ক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য বাড়াচ্ছে কানাডা! চীন যখন একছত্র আধিপত্য কায়েম করার স্বপ্ন নিয়ে সাগরটিতে টহল বাড়িয়েছে; তখনই পারমাণবিক হামলা করতে সক্ষম সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ নিয়ে হাজির কানাডা। দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক জলপথে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষায় কানাডার সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ টহল দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়টির পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগের দিন মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি ক্যরিয়ার গ্রুপ দক্ষিণ চীন সাগরে যৌথ মহড়া চালিয়েছিল। বিতর্কিত পানিসীমায় চীন নিয়ন্ত্রিত দ্বীপের কাছাকাছি দেশটির একটি যুদ্ধজাহাজ যাওয়ার কয়েকদিন পরেই এই মহড়া চালালো দেশটির নৌবাহিনী।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা আন্তর্জাতিক নৌপথে নৌ চালাচলের স্বাধীনতার ওপর জোর দিচ্ছে। সর্বশেষ ফরাসি টহলটি এমনটা নির্দেশ করে ফ্রান্সের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, এই কৌশলটি বিশেষত প্রতিশ্রুতিগুলোর ওপর ভিত্তি করে। আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি ঐতিহ্য ও প্রতিরক্ষা কূটনীতির ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। যা বহুপাক্ষিকতা, আন্তর্জাতিক আইন এবং জলপথে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষার নীতিকে সমর্থন করে।
দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের দখলে থাকা দ্বীপগুলোর পাশে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ দেখে ক্ষিপ্ত দেশটি। চীনের দাবি, দখলে থাকা অঞ্চলগুলোতে দেশটির সার্বভৌমত্ব রয়েছে। দেশটির অভিযোগ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে ওই অঞ্চলগুলোতে উত্তেজনা বজায় রাখছে।
কানাডর সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ফরাসি নৌবাহিনীর দূরে আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান ও জাপানি মিত্রদের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করার সক্ষমতা দেখিয়েছে এটি (দক্ষিণ চীন সাগরে কানাডার জাহাজের টহল)।