ঢাকার সাভারে রোহানুল ইসলাম (১৭) নামের এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাতে পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরে রোহানুলকে হত্যা করা হয়েছে।
রোহানুল ইসলাম পৌর এলাকার উলাইল মহল্লার সোবাহান মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় রোদেলা মডেল স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রোহানুলের মামাতো ভাই রিদুয়ান (২২) বলে, শনিবার রাত আটটার দিকে রোহানুল তাঁকেসহ সুপিয়ান ও জুবায়েল নামে আরও দুজনকে নিয়ে মুড়িমাখা খাওয়ার কথা বলে ব্যাংক কলোনির মুড়ি মটকায় (দোকানোর নাম) যায়। দুটি মোটরসাইকেলে করে তাঁরা মুড়ি মটকার পাশে অ্যালাইড ক্যাডেট স্কুলের সামনে পৌঁছানোর পরপরই ৪০ থেকে ৫০ জন কিশোর রোহানুলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। যাদের প্রত্যেকের কাছে লাঠি ছিল। এরপর ওই কিশোরেরা রোহানুলকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। তাঁরা বাধা দিলে তাঁদেরও লাঠি দিয়ে পেটায় ওই কিশোরেরা। এরপর রোহানুলকে তারা গলির ভেতরে নিয়ে বুকে ও পেটে একাধিক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা রোহানুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
রিদুয়ান আরও বলেন, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় কয়েক শ লোক থাকলেও কেউ তাঁদের চিৎকারে এগিয়ে আসেননি। এ সুযোগে খুনিরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
রোহানুলের মামা ইমরান হোসেন বলেন, রোহানুলের ওপর যারা হামলা চালায়, তাদের প্রায় সবার বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে হৃদয় ও রাহি নামে দুজনকে তাঁরা চিনতে পেরেছেন, যাদের বাড়ি পৌর এলাকার বাইরে।
প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, একটি মেয়ের সঙ্গে রোহানুলের সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের জের ধরে হামলাকারী কোনো এক কিশোরের সঙ্গে রোহানুলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের জের ধরে ওই কিশোর রোহানুলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। হুমকিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে রোহানুল শনিবার রাতে ব্যাংক কলোনি যায়। ওই কিশোর ও তার সঙ্গীরা আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিল। রোহানুলসহ আরও তিনজন সেখানে যাওয়ার পরপরই তারা (কিশোরেরা) তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।