তিন ইউরোপীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে মস্কো। বহিষ্কৃত তিন কূটনীতিক জার্মানি, সুইডেন ও পোল্যান্ডের। এর মধ্যে সুইডেন অবশ্য রাশিয়ায় দেশটির কোনও কূটনীতিকের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার খবর অস্বীকার করেছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই কূটনীতিকরা গত ২৩ জানুয়ারি নাভালনির পক্ষে অনুষ্ঠিত ‘অবৈধ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।’
শুক্রবার মস্কোয় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। ওই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ইউরোপীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কারের এ ঘোষণা দেয় রুশ কর্তৃপক্ষ। ওই বৈঠকেও নাভালনির মুক্তি দাবি করেন জোসেপ বোরেল।
জোসেফ বোরেল বলেন, নাভালনির ঘটনায় রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। উভয় পক্ষের মধ্যকার সম্পর্ক আরও নিচের পর্যায়ে চলে গেছে।
তিনি বলেন, রাশিয়ার ওপর নতুন করে ইইউ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও প্রস্তাব উত্থাপিত হয়নি। তবে ২৭ দেশের এই আঞ্চলিক জোট আগামী মাসের বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবে।
মস্কোতে আয়োজিত সাংবাদিক সাংবাদিক সম্মেলনে জোসেপ বোরেল বলেন, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে নাভালনির ব্যাপারে আমাদের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। তাকে মুক্তি দেওয়া এবং তাকে বিষয় প্রয়োগের ঘটনায় তদন্ত শুরুর আহ্বান জানিয়েছি। ওই সাংবাদিক সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউরোপীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় মস্কো।
উল্লেখ্য, নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল নাভালনিকে। সেই হত্যাচেষ্টায় কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জার্মানিতে। সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ হন তিনি। অবশেষে ১৭ জানুয়ারি দেশে ফেরামাত্র বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে। তার মুক্তির দাবিতে রাজপথে নামে সমর্থকরা। এর মধ্যেই ৩ ফেব্রুয়ারি তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ থেকে হাজার হাজার মানুষকে আটক করে সরকারি বাহিনীর সদস্যরা। সূত্র: বিবিসি।