শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড এলার্টের আবেদন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ইন্টারপোল তাদের অবস্থান থেকে ব্যবস্থা নেবে। শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের মনোভাব ইতিবাচক না। তারা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে না বরং ভারত চায় এই ইস্যুতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার কার্যক্রম চলছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ট্রাইবুনালে এরমধ্যেই ৩০০টি অভিযোগ, ১৬টি মামলা দায়ের করেছে প্রসিকিউশন। তার মধ্যে চারটি মামলার তদন্ত কাজ ফেব্রুয়ারিতে মাসে শেষ হবে। এরপর চার্জশিট গঠণের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হবে। আর ঈদের পর এপ্রিলে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। এছাড়াও অক্টোবরের মধ্যে ৩/৪ টি মামলার রায় হবে বলে আশা করছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেকমন্ত্রী ও শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতারা এই মামলার আসামি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে ট্রাইব্যুনালে একেকটি মামলার বিচারে আড়াই বছর সময় লেগেছিলো। আমাদের এর চেয়ে অনেক কম সময় লাগবে। দ্রুত বিচারে প্রসিকিউশন টিম দিন-রাত কাজ করছে। আগামী অক্টোবরে ৩/৪টি মামলার রায়ের আশা করছি।
সাইবার সিকিউরিটি আইনের মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত ৩৯৬টি মামলা বিচারাধীন ছিলো। এর মধ্যে ৩৩২ টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকি ৬১ টি মামলা ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার হয়ে যাবে। আর ৩টি মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় প্রত্যাহার করা হচ্ছে না।
আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগের আমলের ১৬ হাজার ৪২৯টি গায়েবি মামলার মধ্যে ১ হাজার ২১৪টি মামলা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার হবে। এর মধ্যে ৫৩টি মামলা আজ কালের মধ্যে প্রত্যাহার হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপপ্রচার করছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, গৃহযুদ্ধের কথা বলে অপপ্রচার ও কুৎসা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ যা ইচ্ছা তা বলে যাচ্ছে, এগুলো পাত্তা দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের দুটি অস্ত্র মিথ্যাচার আর অপপ্রচার।