1. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. [email protected] : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. [email protected] : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
শেয়ারবাজারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগে ভয় নেই - Dainik Deshbani
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
‘৬ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হবে’ কক্সবাজারে কাউন্সিলর হত্যা, নারীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার ধূমকেতুটি দেখা যাবে এক লাখ ৬০ হাজার বছর পর ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ফের শিক্ষার্থী সংযুক্তির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর গ্রেপ্তার ২০২৪ সালে হজ্জ পালন করেছে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ সব বিনিয়োগ সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার সরকার ও রাজনৈতিক দল ঠিক করবে নির্বাচন কখন হবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিশি গ্রেফতার চাঁদাবাজি, অপহরণ সহ বিভিন্ন ঘটনায় পেশাদার অপরাধীরা তৎপর, উদ্বেগ

শেয়ারবাজারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগে ভয় নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১

বাঙ্গালীর খবর: আমরা দেখছি সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজার বেশ চাঙা। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও বাজার নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করে শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তৈরির কারণ কী?

শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম: দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের প্রধান ও প্রথম লক্ষ্য ছিল শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। বাজারে নতুন কোম্পানি আনার চেয়ে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল যারা বাজারে আছে, তারা যথাযথভাবে আইনকানুন মেনে চলছে কি না। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কথা যদি কেউ না শোনে, আইনকানুন না মানে, তাহলে সেখানে কিছুই হবে না। যেখানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আছে, সেই কোম্পানি যদি যেমন খুশি তেমন চলে, তাহলে কোনো বিনিয়োগকারী সেখানে বিনিয়োগ করে স্বস্তি পাবে না। বাজার হয়ে যাবে হরিলুটের আড্ডাখানা। এ জন্য শুরুতেই আমরা সুশাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিই। ওটা করতে গিয়ে অনেক কিছুই আমাদের সামনে চলে আসে। তখন আস্তে আস্তে সব কটি সমস্যা মোকাবিলার উদ্যোগ নিই। এখনো সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এরপরও যারা আইন মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু লোকের জন্য অসংখ্য মানুষের ক্ষতি আমরা হতে দেব না। এ লক্ষ্যে কাজ করছি। এ কারণেই হয়তো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থা ফিরেছে।

তার মানে কি অতীতে বাজার খারাপের অন্যতম কারণ ছিল সুশাসনের ঘাটতি?

শিবলী রুবাইয়াত: আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, কিছু কিছু জায়গায় অতীতে আমাদের আরও বেশি সক্রিয় থাকা উচিত ছিল। শেয়ারবাজারে যেসব কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এসেছে, তারা সব নিয়মকানুন জেনেবুঝে ও মেনে নিয়ে এসেছে। আসার পর তারা যদি সেটা মেনে না চলে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব তাদের সঠিক পথে নিয়ে আসা। আমরা আসার পর দেখেছি অনেকে সঠিক পথে ছিল না। আমরা তাদের সঠিক পথে আনার ব্যবস্থা নিয়েছি। তার ফলও বাজারে দেখা যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন

সূচক ও লেনদেনে বেশ ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর সূচক ৪ হাজার থেকে ৬ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্যহীনতায় আবার অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না তো?

শিবলী রুবাইয়াত: বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি করাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। কারণ, সেটি করতে না পারলে সূচক, লেনদেন, বাজার মূলধনসহ শেয়ারবাজারের সূচকগুলোর উন্নতি ঘটানো যাবে না। তারই অংশ হিসেবে আমরা নামসর্বস্ব কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করা ও আইন না মানা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, যারা ভালো করছে, তাদের আরও এগিয়ে নেওয়া এবং নতুন নতুন ভালো মানের কোম্পানি বাজারে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। অল্প সময়ে বেশ কিছু ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে পেরেছি। এসব কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদেরও বেশ আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। এ ছাড়া আরও অনেকে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাতে বলতে পারি, এ বছরটিতেও ভালো ভালো কিছু কোম্পানি বাজারে আনতে পারব। তাই অতীতের পুনরাবৃত্তি হওয়ার শঙ্কা দেখছি না।

আপনার আগে যাঁরা বিএসইসির নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁরা বাজে বাজে কিছু কোম্পানিকে বাজারে এনেছেন। এখন আপনি সেগুলোর কার্যক্রম দেখছেন। আপনি কি মনে করেন এসব কোম্পানি বাজারে আসার যোগ্য ছিল?

শিবলী রুবাইয়াত: আমাদের আগে এখানে যাঁরা দায়িত্ব পালন করে গেছেন, তাঁরা সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁরা তাঁদের মতো করে বাজারের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। আমি সরাসরি তাঁদের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। তবে আমরা এখানে আসার পর দেখলাম, কিছু ইস্যু ব্যবস্থাপক, নিরীক্ষক, হিসাববিদ মিলে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁরা বিভিন্নভাবে ভুল ও ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা হিসাব, ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জকে বিভ্রান্ত করেছেন। তাঁদের একটি বড় অংশ আবার প্লেসমেন্ট বাণিজ্যের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। প্লেসমেন্টের শেয়ার বিক্রি করে বেরিয়ে যাওয়ার জন্যই তাঁরা মূলত ভুল তথ্য দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিকে বাজারে আনতে কাজ করতেন। এতে শেষ পর্যন্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হতেন। এ রকম কিছু ব্যক্তি, ইস্যু ব্যবস্থাপক ও নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানকে আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে। আমি এটুকু বলতে পারি, চিহ্নিত এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে আর কাজ করতে পারবে না।

যখনই বাজারে সূচক ও লেনদেন বাড়তে থাকে, তখনই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পতনের শঙ্কা তৈরি হয়। এবারও তাই দেখতে পাচ্ছি। এ শঙ্কা থেকে বিনিয়োগকারীরা মুক্ত হতে পারছেন না কেন?

শিবলী রুবাইয়াত: পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে মানুষের মনে এ ধরনের শঙ্কা রয়ে গেছে। নব্বইয়ের দশকে যখন বাজারে পতন ঘটেছিল, তখন ছিল কাগজের শেয়ার। রাস্তাঘাটে, এখানে–সেখানে শেয়ার পাওয়া যেত। এখন বাজারে আইটি ব্যবস্থা আছে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণ ও লেনদেনের জন্য একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তাই নব্বইয়ের দশকে বাজারে যা হয়েছিল, তা এখন আর হবে না। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর লেনদেনব্যবস্থার কারণে বাজার তদারকি ও সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থা এখন অনেক শক্তিশালী। কে কোথায় কী করছেন, তা নিমেষেই সার্ভিল্যান্সে ধরা পড়ছে। অনেক কিছুই আমরা দেখছি, প্রতিনিয়ত ধরছি। এ ছাড়া বড় ধরনের ফান্ড নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে কেউ যাতে বাজারে কারসাজি করতে না পারে, সে জন্য আমরা আইসিবিকে (ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ) অনেক
বেশি শক্তিশালী করছি। এ জন্য সরকারের কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছি। এ ছাড়া শেয়ারবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবণ্টিত বা অবিতরণকৃত লভ্যাংশের সমন্বয়ে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করছি। এ তহবিল কার্যকর হলে বাজার নিয়ে কারসাজি করাটা যে কারও পক্ষে একটু কষ্টকর হবে।

কিন্তু আইসিবির ভূমিকাই তো বাজারে প্রশ্নবিদ্ধ। এই প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের হাতে তহবিল দিয়ে কীভাবে তহবিল ও বাজারের সুরক্ষা আশা করছেন?

শিবলী রুবাইয়াত: আইসিবিতে নতুন চেয়ারম্যান যোগ দিয়েছেন। তিনি সেখানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছেন। অতীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। কখনো কখনো তা নিজেদের ভুল বা দুর্নীতির কারণে আর কখনো কখনো অন্যের চাপের কারণে সেটি হয়েছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির বড় অঙ্কের বিনিয়োগ ক্ষতির মুখে পড়েছিল। যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় এ ক্ষতির পরিমাণ কমে দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। তাই আগের চেয়ে আইসিবি আর্থিক দিক থেকে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া এ মাসের মধ্যেই আমরা নতুন করে মার্কেট মেকার (বাজার সৃষ্টিকারী) লাইসেন্স দেব বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে। আইসিবির পাশাপাশি তারাও বাজার স্থিতিশীলতায় কাজ করবে।
বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি আপনি দেশে–বিদেশ নতুন ব্রোকারেজ হাউসের শাখা খোলার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন। বাজারে যেখানে ভালো শেয়ারের সংকট, সেখানে নতুন করে চাহিদা বাড়াচ্ছেন কেন? এতে সংকট তৈরি হবে না তো?

শিবলী রুবাইয়াত: আমি সরবরাহের দিক থেকে খুব বেশি সংকট দেখি না। বরং সংকট দেখি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আইটি ব্যবস্থায়। আমরা যেভাবে এগোচ্ছি, প্রতিষ্ঠানটি সেভাবে এগোতে পারছে না। আমাদের বাজারের সক্ষমতার তুলনায় ডিএসইর আইটি ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। আপনারা জানেন, আমরা এরই মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছি। সেগুলোর ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দিয়েছি বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার। সরকার যে সুকুক বন্ড চালু করেছে এবং যেসব ট্রেজারি বন্ড রয়েছে, সেগুলোকে আমরা বাজারে আনব। সব বন্ড মিলিয়ে আকার প্রায় লাখ কোটি টাকার। এ ছাড়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে আসা ভালো ভালো বেশ কিছু কোম্পানি তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আছে। এসব বন্ড ও কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত করতে ডিএসইর আইটি ব্যবস্থা উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই চাহিদা বাড়লে তার বিপরীতে সরবরাহ বাড়ানোর প্রস্তুতিও আমরা নিয়ে রেখেছি।

আমাদের দেশে বহুজাতিক কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারে সেগুলো তালিকাভুক্ত। কিন্তু বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে এসব প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্তির কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না কেন?

শিবলী রুবাইয়াত: বহুজাতিক কোম্পানিকে বাজারে আনতে হলে তাদের জন্য আলাদা করছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমানে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলেই দেশ–বিদেশ থেকে যেকোনো সময় কম সুদে অর্থের সংস্থান করতে পারছে। টাকার কোনো সংকট তাদের নেই। এমন পরিস্থিতিতে তাদের লাভ হয়, এমন কোনো সুবিধা না দিলে তারা বাজারে আসবে না। শেয়ারবাজারের কোম্পানিকে কমপ্লায়েন্স পরিপালনে সাধারণ কোম্পানির চেয়ে ১–২ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ করতে হয়। তাই করছাড়ের সুবিধা না দিলে এসব কোম্পানিকে কখনোই বাজারে আনা সম্ভব হবে না। আগামী বাজেটে যাতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনতে বিশেষ করছাড় সুবিধা দেওয়া হয়, সেই সুপারিশ আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরব।

আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বলেছিলেন, ২০২০ সালে বাজারে লেনদেন দেড় হাজার কোটি টাকা এবং ২০২১ সালের মধ্যে তা তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ২০২০ সালের শেষে এসে আমরা দেখলাম, লেনদেন দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কিসের ভিত্তিতে এ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন?

শিবলী রুবাইয়াত: দেখুন, আমি ফাইন্যান্সের ছাত্র ছিলাম। ফাইন্যান্সে শিক্ষকতার সঙ্গেও জড়িত ছিলাম। ফাইন্যান্সের মডেলিং শিখেছি ও শিখিয়েছি জীবনের দীর্ঘ সময়। তাতে এটুকু ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো সক্ষমতা আমার শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা থেকে পেয়েছি।

কিন্তু বাজার বিশেষজ্ঞরা বলেন, যেকোনো অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে মানুষ জানতে পারলে তাতে অপরাধপ্রবণতা কমে। আপনারা উল্টোটা করছেন কেন?

শিবলী রুবাইয়াত: শুরুতে আমরাও এ কাজ করেছিলাম। তাতে দেখলাম বাজারে সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বাজারেও তার বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তখন আমরা সেই পন্থা থেকে কিছুটা সরে আসি। কারণ, আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল বাজারে গতি ফিরিয়ে আনা। সে সময় আতঙ্কের কারণে বাজারে গতি ফিরছিল না। তাই আমরা প্রকাশ্য শাস্তি ও তদন্তের উদ্যোগের বদলে গোপনে কাজ করছি। তাতেই বরং ভালো ফল পাচ্ছি। প্রায় প্রতিদিনই কোনো কোনো বিষয়ে আমরা তদন্ত করছিই।

অতীতে আমরা দেখেছি, বিএসইসি অনেক কিছু করেছে, যা বাজারের জন্য ভালো ফল আনেনি। ব্যক্তিস্বার্থে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনারা কি চাপের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারছেন?

শিবলী রুবাইয়াত: নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকায় আমরা যাঁরা আছি, তাঁদের যেকোনো চাপ মোকাবিলার সক্ষমতা ও সাহস রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি কখনো দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন সেই অর্থনীতি আর টিকে থাকে না। এ ছাড়া আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তাই চাপ এলেই দুর্বল হয়ে যাব বা পরাজিত হব, সেই মানসিক অবস্থা আমাদের নয়। ভয় দেখিয়ে আমাদের দিয়ে কেউ কিছু করিয়ে নেবে, সেটি মনে হয় না সম্ভব হবে। বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থই আমাদের কাছে সবার আগে। তাঁদের জন্যই কাজ করছি, কাজ করে যাব। এ ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী, সরকারের মুখ্য সচিব, সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সবাই সহায়তা করছে। এ সহায়তা অব্যাহত থাকলে আমরা শেয়ারবাজারকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব বলে আশা রাখছি।

অতীতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ নিয়ে বাজারে এসে বারবার প্রতারিত হয়েছেন। তাঁদের জন্য আপনার কী বার্তা থাকবে?

শিবলী রুবাইয়াত: ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের রক্ষা ও শেয়ারবাজারে এসে তাঁরা যাতে লাভবান হন, সে জন্য আমরা নতুন নতুন অনেক সেবা ও পণ্য বাজারে আনতে যাচ্ছি। বিনিয়োগকারীরা যাতে ব্যাংকের চেয়ে শেয়ারবাজারে টাকা খাটিয়ে বেশি লাভবান হতে পারেন, সেই চেষ্টা করছি। যাঁরা এ বাজারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের ভয়ের কিছু নেই। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে বছর শেষে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যাতে ন্যূনতম ১০ শতাংশ মুনাফা পান, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটুকু বলতে পারি, আমরা যত দিন দায়িত্বে আছি, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তত দিন সুরক্ষিত থাকবেন।

বাঙ্গালীর খবর: আপনাকে ধন্যবাদ।

শিবলী রুবাইয়াত: আপনাকেও ধন্যবাদ।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব