ব্যাটারদের এক চুলও ছাড় না দেওয়ার মানসিকতায় বোলিং করেন তানজিম সাকিব। ব্যাটারদের সঙ্গে লেগে যাওয়ার ঘটনাও তাঁর কাছে নতুন নয়। এতে আইসিসির শাস্তিও পেয়েছেন।
অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ায় এবার বিসিবিরও শাস্তি পেলেন। বিপিএলে সর্বোচ্চ ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন জুনিয়র সাকিব। তাঁর দল সিলেট স্ট্রাইকার্স এবার বিদায় নিয়েছে লিগ পর্ব থেকেই।
৭ ফেব্রুয়ারি বিপিএল শেষের পর বাংলাদেশের পরবর্তী ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। ডিপিএলে তিনি যে দলের হয়েই খেলুন না কেন, দুই ম্যাচ খেলা হচ্ছে না তাঁর। ২৪ মাসে চার ডিমেরিট পাওয়ার শাস্তি হিসেবেই দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেলেন তিনি।
সেটা শুধু কার্যকর হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটেই। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে তাঁর কোনো বাধা থাকছে না। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে আছেন বাংলাদেশের এই পেসার।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হয়েছে চিটাগং কিংস। চিটাগংয়ের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে গ্রাহাম ক্লার্কের উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব। বাংলাদেশের এই পেসারকে ক্লার্কের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে শোনা গেছে।
এই ঘটনায় তাঁর নামের পাশে জুটেছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। দুই অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও মোর্শেদ আলী খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে (তানজিম সাকিব) শাস্তি দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি এহসানুল হক সেজান। আজকের পত্রিকাকে আজ তানজিম সাকিবের ডিমেরিট পয়েন্টের কথা নিশ্চিত করেছেন সেজান।
এবারের বিপিএলে গত ১২ জানুয়ারি তিন ডিমেরট পয়েন্ট পেয়েছিলেন তানজিম সাকিব। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজের সঙ্গে ধাক্কা ও কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছিল।
সেই ম্যাচে তিন ডিমেরিট পয়েন্টের পাশাপাশি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল। সিলেট স্ট্রাইকার্স-খুলনা টাইগার্সের সেই ম্যাচেও সেজান ছিলেন ম্যাচ রেফারি।