শাহিন শাহ আফ্রিদি খেলবেন বিপিএলে এ ফরচুন বরিশালের হয়ে। বিপিএল শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর। বাঁহাতি পেসার আফ্রিদি অবশ্য বরিশালের হয়ে শুধু বিপিএলে তাদের প্রথম পাঁচটি ম্যাচেই খেলতে পারবে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত খেলার অনুমতি দিয়েছে। বিপিএল শেষ হওয়ার কথা ৭ ফেব্রুয়ারি। ১৫ জানুয়ারি থেকে পাকিস্তান আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলবে। এই সিরিজেও আফ্রিদি থাকছেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শাহিন শাহ আফ্রিদি পাকিস্তানের টেস্ট দলে না থাকায় বিস্মিত অনেকেই।
পিসিবি জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পূর্ণ ফিট আফ্রিদিকে চায় তারা। সে কারণেই টেস্ট থেকে দূরে রাখা। তবে একই সময়ে আফ্রিদির বিপিএল খেলা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠছে।
যদিও বিষয়টি ভিন্নভাবেও দেখা যেতে পারে। বিপিএলে ৫ ম্যাচে সর্বোচ্চ মাত্র ২০ ওভার বোলিং করতে হবে আফ্রিদিকে। টেস্ট খেললে তা এক ইনিংসেই করতে হতো তাঁকে। হয়তো লম্বা স্পেলের ধকল থেকে আফ্রিদিকে মুক্তি দিতেই আপাতত টেস্টে তাঁকে নিয়ে ভাবছে না পিসিবি। আর খেলা থেকে একেবারে দূরে না থেকে বিপিএল ম্যাচের মধ্যে থাকাতেও বা দোষ কী।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তান ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। পাকিস্তানের সঙ্গে এই সিরিজে খেলবে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
গত অক্টোবরে প্রথম ম্যাচের পর আফ্রিদিকে টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়া হয় ইংল্যান্ড সিরিজে।
এই আফ্রিদিই ওয়ানডে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধোলাই করার পথে নেন ৭ উইকেট। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও ৮ উইকেট নিয়েছেন।
পিসিবি জানিয়েছে, ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের কথা। তবে টেস্ট না খেলে একই সময়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলবেন এই পেসার। হয়তো সেই খবর শুনেই সাবেক কোচ মিকি আর্থার বলেছেন, আফ্রিদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় না বোলিং করালে আর কোথায় করাবে?
মিকি আর্থারের প্রশ্ন তোলার কারণও আছে বটে। কারণ, আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজের টেস্ট দুটি যেখানে হবে, সেখানে ঐতিহাসিকভাবে পেসারদের দাপট দেখা যায়। কাল প্রথম টেস্টের ভেন্যু সেঞ্চুরিয়নে টেস্ট শীর্ষ ১০ উইকেট সংগ্রাহকের মধ্যে একজনও স্পিনার নেই। সর্বোচ্চ উইকেট ডেল স্টেইনের ৫৯টি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট কাগিসো রাবাদার। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টটি খেলবে কেপটাউনে। যে উইকেটেও ঐতিহাসিকভাবে পেসারদের দাপট দেখা যায়। এখানে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট সংগ্রাহকের সবাই পেসার। মুলতান রাওয়ালপিন্ডি নয়, আফ্রিদির বোলিং করার জন্য এটাই তো সেরা জায়গা!