উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের গুলশান থানার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শাহজাহান কবির, বক্তব্যকালে তিনি বলেন, ঢাকা-শহর সহ সারা বাংলাদেশে দুর্বৃত্তদের কোথাও স্থান হবে না।
তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান ও ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ চান মিয়া সরদার, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে যারা রাজপথে ভূমিকা রেখেছে, যারা স্বৈরাচারী সরকারের হামলা-মামলার শিকার হয়েছে এবং ৫ আগস্টের পর যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে লিপ্ত হয়নি, আগামী দিনের নেতৃত্ব বাছাইয়ে তারা এগিয়ে থাকবে।
আর যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে, তারা হচ্ছে দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্তদের রাজধানী ঢাকাসহ কোথাও স্থান হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের গুলশান থানার সাবেক সদস্য সচিব এসে জালাল এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন-মনপুরার কৃতি সন্তান ঢাকা মহানগর উত্তর গুলশান থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মোঃ মোবারক উল্লাহ যুগ্ম আহ্বায়ক উপস্থিতি বক্তব্যে বলেন,
আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের ‘জাতীয়তাবাদী সূর্যসৈনিক’ হিসেবে উল্লেখ করে ,,মোবারক উল্লাহ,, শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকেরা বিভাজনে জড়ায় না, অপকর্মে লিপ্ত হয় না।
মোবারক উল্লাহ,, অনুপ্রবেশকারীদের হুঁশিয়ার করে বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের স্থান এই বাংলার মাটিতে হবে না।
যারা অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে, তাদের চিহ্নিত করে রাখা হবে। তারেক রহমানকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের রূপকার হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন,
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়েছে। তারেক রহমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে একটি গণআন্দোলনে রূপান্তরিত করে ফ্যাসিস্ট, মাফিয়া, স্বৈরাচার সরকারের পতন ত্বরান্বিত করেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর আদর্শের সৈনিকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
এই সময়ে অংশগ্রহণ করেন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শামিম ওসমান ১৯ নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোঃ পিপল, মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, মোঃ রাকিব, মোঃ দিদার, মোঃ মাসুদ, মোঃ আলম ও মোঃ মুরাদ হোসেন।
দীর্ঘদিন রাজনৈতিক মামলায় কারান্তরীণ ও স্বদেশে ফেরা নেতাদের নিয়ে পুনর্মিলিত হওয়া একে অপরের সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে বক্তারা বলেন, এটি শুধু পুনর্মিলনী নয়, এটি বিএনপি নেতাদের একটি ঐক্য, সহমর্মীতা এবং একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক।