বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রথম প্রশ্ন ছিল, রাশিয়ার অর্থনীতি কীভাবে টিকে আছে?
জবাবে পুতিন বলেন, তাঁর দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। ‘বাইরের হুমকি’ থাকা সত্ত্বেও সব প্রতিকূলতাকে ঠেলে দিয়ে অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। এ বছর ৩ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে তিনি জানান।
মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি পুতিন স্বীকার করেছেন। বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশে পৌঁছানো একটি ‘অশুভ সংকেত’। কিন্তু তারপরও ‘সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি স্থিতিশীল’ আছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, ক্রয়ক্ষমতা সমতা সূচকে রাশিয়ার অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। একই পরিমাণ অর্থে (ডলার) কোনো দেশে কী পরিমাণ পণ্য কেনা যায়, তার তুলনামূলক চিত্রই হলো ক্রয়ক্ষমতা সমতা সূচক।
পুতিনের বছর শেষের এ সংবাদ সম্মেলন সাধারণত প্রশ্ন-উত্তর পর্ব কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে। টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখানো হয়। পুতিন সংবাদ সম্মেলনে সশরীর খুব একটা উপস্থিত থাকেন না। তবে বাৎসরিক এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি সশরীর উপস্থিত থাকেন।
গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তেজনা ও সংঘাত বেড়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের আগেই উভয় পক্ষ যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন।
পুতিন বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার অর্থনীতি নিয়েও কথা বলবেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। তার পর থেকে এ যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক নানা নিষেধাজ্ঞা, সঙ্গে যুদ্ধের ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে রাশিয়ার অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।