পটুয়াখালীর বাউফলে জায়ামাতে ইসলামীর তিন সমর্থকের ওপর হামলার ঘটনায় পালটাপালটি বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলনের পর বিএনপি ও জামায়াতের উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা আপস-মীমাংসার মাধ্যমে সমঝোতা করেছেন।
রোববার রাতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ (ফিরোজ) ও উপজেলা জামায়াতের আমির মো. রফিকুল ইসলাম দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করেন। পরে তারা বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেনের কাছে গিয়ে তাদের মধ্যে সমঝোতার বিষয়টি অবহিত করেন।
গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনয়নের আমিরাবাদ বাজারে মো. মনিরুজ্জামান ওয়াজিবুল্লাহ (৩০), নাইম আবদুল্লাহ (২৮) ও মো. আলামিন (২৫) নামে তিন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করে পিটিয়ে আহত করে স্থানীয় কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের অনুসারীরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
জামায়াতের ওই বিক্ষোভের প্রতিবাদে কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবদলের সদস্য মো. তোফাজ্জেল হোসেন (তপু) বলেন, যারা আহত হয়েছেন তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছেন। এখন তারা জামায়াত সেজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিল। এ কারণে ভুক্তভোগী লোকজন তাদের মেরেছে।
এ ঘটনাকে সাধারণ নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি আখ্যা দিয়ে দুই পক্ষেরই সমালোচনা করেন। পরে রোবরার রাতে জামায়াত ও বিএনপির নেতারা দুই পক্ষকে নিয়ে বসে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে সমঝোতা করে দেন। এই সমঝোতায় কোনো বিনিময় ছিল না।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ (ফিরোজ) ও উপজেলা জামায়াতের আমির মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জামায়াত ও বিএনপি এক অপরের বন্ধু। একটু ভুল বোঝাবুঝির কারণে তুচ্ছ একটা ঘটনা ঘটেছে, যা কোনো বিনিময় ছাড়াই সমঝোতা করে দেওয়া হয়েছে।
ওসি মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে এ জাতীয় ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে বিষয়ে দুই পক্ষকেই বলে দেওয়া হয়েছে।’