1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ অপরাহ্ন

৫ বছর হওয়ার আগেই মারা যায় দেশের ২.৯ শতাংশ শিশু

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

দেশের ২ দশমিক ৯ শতাংশ শিশুর বয়স ৫ বছর হওয়ার আগেই মারা যায়। এমনটিই উঠে এসেছে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) প্রকাশিত এক সূচকে। বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতায় বাংলাদেশের অবস্থানের তিন ধাপ অবনতি হয়েছে। বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের এবারের স্কোর ১৯ দশমিক ৪। এই স্কোর নিয়ে ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ঠেকেছে ৮৪তম অবস্থানে। গত বছর স্কোর ছিল ১৯; ঠাঁই হয়েছিল সূচকের ৮১তম স্থানে।

গত শুক্রবার ইউরোপীয় দেশগুলোর বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) অর্থায়নে পরিচালিত গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) প্রকাশিত এক সূচক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবছর চারটি মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে তৈরি হয় জিএইচআই বা বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক। সেগুলো হলো– অপুষ্টির হার, পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের শিশুর হার, পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশুর হার এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার। ক্ষুধা সূচকে কোনো দেশের স্কোর শূন্য মানে সেখানে ক্ষুধা নেই। আর স্কোর ১০০ হলে বুঝতে হবে, সেখানে ক্ষুধার মাত্রা বেশি।

জিএইচআই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ১৯ দশমিক ৪। এই স্কোর নির্দেশ করে, বাংলাদেশে এখনও ক্ষুধা আছে, তবে তা সহনীয়। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টির শিকার। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ২৩ দশমিক ৬ শতাংশই শৈশবে তাদের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক সুবিধাগুলো পায় না। এর বাইরে ১১ শতাংশ শিশু শারীরিক-মানসিকভাবে দুর্বল। অর্থাৎ, শারীরিক বিকাশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বয়স ও উচ্চতা অনুপাতে তাদের ওজন ঠিকমতো বাড়ছে না।ক্ষুধা সূচক ১০ থেকে ১৯ দশমিক ৯-এর মধ্যে থাকলে ওই দেশ ‘মধ্যম’ মাত্রার ক্ষুধায় আক্রান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। ‘মধ্যম’ মাত্রার দেশ হিসেবে শ্রেণিকৃত বাংলাদেশে ২০১৬ সালের চেয়ে ক্ষুধার মাত্রা কমেছে। সে বছর স্কোর ছিল ২৪ দশমিক ৭।

এবার ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা (৫৬তম) ও নেপাল (৬৮তম)। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। সূচকে এ বছর ভারতের অবস্থান ১০৫তম ও পাকিস্তানের ১০৯তম। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা আফগানিস্তানের; ১১৬তম।
জিএইচআই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সার্বিকভাবে ক্ষুধার মাত্রা গুরুতর। নিম্নমানের খাদ্য, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে এ অঞ্চলে অপুষ্টি বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার ২৮২ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টির মধ্যে আছে।

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ইউরোপের দেশ বেলারুশ। আর বুরুন্ডি, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, ইয়েমেন, শাদ ও মাদাগাস্কারে ক্ষুধার মাত্রা উদ্বেগজনক।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব