একসময় তিনি কালোবাজারে ডলার বিক্রি করেছেন। তারপর জড়িয়ে যান সোনা চোরাচালানে। দুই হাতে অবৈধ টাকা আয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারেও লেগে পড়েন। সে চেষ্টাতেও বেশ সফল।
নিজ এলাকায় দুইবারের সংসদ সদস্য তিনি। এরপর অবৈধ জমি দখলসহ বিতর্কিত আরো নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।
এসব অভিযোগ নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে। নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তিনি।
তবে তাঁর রাজনৈতিক বা দলীয় তকমা থেকেও বেশি পরিচিতি ‘ডলার সিরাজ’ নামে। আশি-নব্বইয়ের দশকে রাজধানীর মতিঝিলে ব্যাংকপাড়ায় কালোবাজারে ডলার বিক্রি করতেন তিনি। ডলার বেচাকেনার পাশাপাশি জড়িয়ে যান সোনা চোরাচালানে। এসব ঘটনায় মামলার আসামিও হয়েছেন কয়েকবার।
এক পর্যায়ে কালোবাজারির বদনাম ঘোচাতে তিনি রাজনীতিতে পা রাখেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে হয়েছেন দুইবার সংসদ সদস্য। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে নিজের আধিপত্য বিস্তারে গঠন করেছেন ‘পরিবার লীগ’।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েও রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর সিরাজ মোল্লার স্ত্রী ও ভাইদের বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হলেও অজানা কারণে কোনো মামলায় আসামি করা হয়নি তাঁকে।
তা ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। সেখানে তাঁর বাড়ি রয়েছে বলে পরিবারের একাধিক সদস্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, সিঙ্গাপুরে সিরাজের ‘সেকেন্ড হোম’ রয়েছে।