বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদ আবু সাঈদ সম্পর্কে ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রত্যাখ্যান করে তাকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ফুসে উঠেছেন রংপুরসহ পীরগঞ্জবাসী।
মঙ্গলবার উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে দ্রুত গ্রেফতার ও তার শাস্তির দাবিতে শহিদ আবু সাঈদের পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষে পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে বক্তব্য রাখেন- রংপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাহমুদুন্নবী পলাশ, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক শাহিনুজ্জামান শাহিন, পৌর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল আজাদ, শহিদ আবু সাইদের বড় ভাই রমজান আলী, আবুল হোসেন, সমন্নয়ক নাহিদ ইসলাম, আবু কাওসার মো. রায়হান, সাংবাদিক আব্দুল করিম সরকার ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল সে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রথম শহিদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ। তার এ মৃত্যু গোটা দেশ তথা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তার এ আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে ছাত্র-জনতার যে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল এতে নিহত হয়েছেন শত শত ছাত্র-জনতা। শেষ পর্যন্ত হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন হাসিনা। দেশবাসীসহ গোটা বিশ্ববাসীর কাছে এ আন্দোলনে শহিদরা সমাদৃত। অথচ সরকারের একজন কর্মকর্তা হয়ে আবু সাঈদ সম্পর্কে ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তা অগ্রহণযোগ্য।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা দ্রুত ঊর্মিকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পরে জাফরপাড়া এলাকায় সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পীরগঞ্জ উপজেলা শাখাও একই দাবিতে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও গুলশান মোড়ে প্রতিবাদ সভা করেছে। তারাও ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে সোমবার রংপুর নগরীর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।