জাতীয় কমিটি জানায়, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সড়কপথে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বিঘ্ন ঈদ যাতায়াতের জন্য সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
ইদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহত্তর ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনদের কাছে যাবে। এসব মানুষ ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে। এই বিপুলসংখ্যক ঈদযাত্রীর ৬০ শতাংশ যাবে সড়কপথে। এই হিসেবে সড়কপথের যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ।
জাতীয় কমিটি জানায়, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সড়কপথে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বিঘ্ন ঈদ যাতায়াতের জন্য সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
গবেষক নাগরিক সংগঠনসহ পরিবহন বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের তথ্য মতে, সব মিলিয়ে ঢাকা অঞ্চল ছেড়ে যায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
সাধারণত এক সপ্তাহ আগে ঈদযাত্রা শুরু হয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র সাতদিনে বিপুলসংখ্যক মানুষকে সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা সড়ক পরিবহনখাতে নেই।
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রার জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।
তবে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে এ সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার না থাকায় প্রতিবেদনটি ‘শতভাগ বস্তুনিষ্ঠ’ না-ও হতে পারে বলে স্বীকার করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে।