নারী হওয়ার কারণে উপচার্য হয়েও বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন ড. সাদেকা হালিম। বলেন, শুধুমাত্র নারী হওয়ার কারণে বুলিংয়ের হাত তিনি নিজেও রক্ষা পাননি বলে জানিয়েছেন স্বয়ং উপচার্য নিজেই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালযরে উপচার্য ড.সাদেকা হালিম।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের আয়োজনে ফাইরুজ অবন্তিকার স্মরণে শোকসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এসময়, ড.সাদেকা হালিম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি অনুরোধ করবো অবন্তিকে কোনোভাবে যাতে মেন্টাল ডিসঅর্ডার দিয়ে বিবেচনা করা না হয়। দেশে নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শুধু সমাজের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে আমিও তো বুলিংয়ের শিকার হয়েছি। তবে আমি বুলিং নিতে পারি, কারণ ৩০ বছর ধরে সহ্য করে আসছি।
এই উপচার্য আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকল্যাণ প্রতিনিধি হিসেবে নারীদের নিয়োগ করার ঘোষনা দেন। বলেন, শুধু একজন পুরুষ পরিচালক থাকবে না, একজন নারীও থাকবে। সেইসাথে ছাত্রকল্যাণ প্রতিনিধি বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
দ্রুত প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, সাময়িক বহিষ্কার না করলে এত দ্রুত বিচার করা যায় না। আমাদের যে তদন্ত কমিটি তা বিশ্ববিদ্যালয় আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। একটি তদন্ত দ্রুত করা যায় না। আইন বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীকেই তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়ন বক্সের বিষয়ে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের যৌন নিপীড়ন বক্সগুলো পরিষ্কার করে নতুন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বক্সগুলোর তালার চাবি আমার কাছে থাকবে। আমি নিজে বক্সগুলো খুলে চেক করবো প্রতিনিয়ত। আমি সবসময় মেয়েদের জন্য দাঁড়াবো।