1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

ভোলায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ১৫ গ্রাম

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩
গত তিনদিন ধরে ভোলা জোয়ারের পানিতে দৈনিক চার পাঁচ ঘন্টা পানিবন্দি হয়ে থাকছে ঘর থেকে বের হতে কষ্ট হয়। রান্নাবান্না ও খাওয়া নিয়ে অনেক কষ্টে ভোলা বাঁশি সংগৃহীত ছবি:-দৈনিক দেশবানী

নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চলের ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দৈনিক দুইবার ৪-৫ ঘণ্টা পানিবন্দি থাকতে হচ্ছে প্রায় ১৬ হাজার মানুষকে। তলিয়ে গেছে বসতঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের জমি।

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের চারটি, দৌলতখান উপজেলার মদনপুর, নেয়ামতপুর; তজুমদ্দিন উপজেলার চর মোজাম্মেল, চর জহির উদ্দিন; চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চর নিজাম ও মনপুরা উপজেলার কলাতলির চরসহ নিম্নাঞ্চলের ১৫টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা।

শনিবার বিকেলে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে সংগৃহীত
ছবি:-দৈনিক দেশবানী

সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আসমা বেগম, সিরাজ মুন্সি, দৌলতখান উপজেলার মদরপুর ইউনিয়নের জসিম ও ফিরেজ মাঝি দৈনিক দেশবানীকে বলেন, গত তিনদিন ধরে আমরা জোয়ারের পানিতে দৈনিক ৪-৫ ঘণ্টা পানিবন্দি থাকছি। ঘর থেকে বের হতে কষ্ট হয়। রান্নাবান্না ও খাওয়া নিয়ে অনেক কষ্টে আছি।

চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের বাসিন্দা হারুন ব্যাপারী, সাইদুল রহমান এবং মনপুরা উপজেলার কলাতলি চরের বাসিন্দা ফরিদ মাঝি, নুর জাহান বেগম বলেন, জোয়ার এলে আমরা ঘরের খাটের ওপর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসে থাকি। জোয়ার নেমে গেলে খাট থেকে নামি। জেয়ারের পানিতে আমাদের ফসলের জমিও তলিয়ে গেছে।

জোয়ারের পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় গবাদিপশু রাখতে কষ্ট হচ্ছে। সংগৃহীত
ছবি:-দৈনিক দেশবানী

তারা আরও বলেন, জোয়ারের পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় গবাদিপশু রাখতে কষ্ট হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে গরু-মহিষ ও হাঁস-মুরগি ভেসে যাওয়ার ভয়ে থাকি। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাওবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। আগামী দু একদিনের মধ্যে পানির পরিমাণ একেবারেই কমে যাবে। তখন সবই স্বাভাবিক হয়ে যাবে  বলে জানান তিনি।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব