সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানানো হয়। শুক্রবার (৪ আগস্ট) কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে প্রেস নোটটি প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, সম্প্রতি বিরোধী দলগুলোর সমাবেশে বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা হয়েছে; যেখানে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকের ব্যক্তিদের প্রতিবাদকারীদের দমনে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট ও লোহার রডসহ বিভিন্ন ধরনের বস্তু ব্যবহার করতে দেখা যায়।
প্রেস নোটে বলা হয়, এসব ঘটনায় অনেক বিরোধী দলের সমর্থক এবং পুলিশ আহত হয়েছে। বিরোধী দলীয় অনেক নেতাকে প্রকাশ্য দিবালোকে পেটানো হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের বাসায় তল্লাশি করা হয়েছে। এছাড়া সমাবেশের আগে ও সমাবেশকালে বিরোধী দলের শতশত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেরেমি লরেন্স বলেন, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার চর্চার সুযোগ দিতে হবে। এছাড়া তৃতীয় কোনো পক্ষ জনগণের সেই অধিকারকে দমন করতে চাইলে তাদের অধিকার রক্ষায় নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই যে, কেবল জরুরি প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রিতভাবে বল প্রয়োগ করা যেতে পারে। আর এটি করতে গেলেও বৈধতা, সংযমের ভিত্তিতে এবং যৌক্তিক কারণ সাপেক্ষে তা করতে হবে।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।