শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দেশের বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতির পরিবর্তে দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক।
দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেছিলেন, বিচার বিভাগকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও সংবিধানবিরোধী বলে বিবৃতিতে দাবি করেছেন ওবায়দুল কাদের। এতে ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান কাদের।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের নেতারা দেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির দুর্নীতিপরায়ণ শীর্ষ নেতৃত্বের অপরাধ দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া ও সাক্ষ্য–প্রমাণের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতের রায়ে তাঁদের শাস্তি হয়েছে।
এক–এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ঐ মামলা করেছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঐ সরকার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও মামলা করেছিল। দেশবাসী জানে, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এবং সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা খারিজ করেছেন উচ্চ আদালত।
দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন, জনমত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি কোনো কিছুর প্রতি জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির কোনো ধরনের আস্থা নেই বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাই তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে। স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থা ও সংবিধানকে বারবার কলঙ্কিত করেছে বিএনপি। দলটি আজ তাদের শীর্ষ নেতাদের অপরাধ থেকে বাঁচানোর জন্য সংবিধান ও বিচার অঙ্গন সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় আইনের বিবেচ্য বিষয় নয়।