১৯৮৮ সালের ১০ ডিসেম্বর, রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বাইয়ের হয়ে গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সিনিয়র ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন শচিন টেন্ডুলকার। ৩২ বছর পর মুম্বাইয়ের হয়ে ম্যাচ দিয়েই বড়দের ক্রিকেটে আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু করলেন শচিনের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ১৫ বছর বয়সী শচিন অভিষেক রাঙিয়েছিলেন চোখধাঁধানো সেঞ্চুরিতে। ২১ বছর বয়সী অর্জুন আলো ছড়াতে পারেননি প্রথম ম্যাচে।
বাবার সঙ্গে অবশ্য ক্রিকেটীয় ধরনে একদমই মিল নেই ছেলেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান শচিন ক্যারিয়ারের শুরুর কয়েক বছর পেস বোলিংও করতেন ডানহাতে, পরে হয়েছিলেন লেগ স্পিনার। অর্জুন পুরোদস্তুর বাঁহাতি পেসার। সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির ম্যাচে শুক্রবার মুম্বাইয়ে ৩ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে অর্জুনের প্রাপ্তি ১ উইকেট। ব্যাট হাতে ১১ নম্বরে নেমে খেলতে পারেননি কোনো বল।
একটা দিক থেকে অবশ্য চক্র পূরণ হলো বলা যায়। ঘরোয়া ক্রিকেটে শচিন শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন হরিয়ানার বিপক্ষে। অর্জুনের অভিষেক হলো হরিয়ানার বিপক্ষেই।
বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স মাঠে মুম্বাই ১৯.৩ ওভারে অলআউট হয় ১৪৩ রানে। রান তাড়ায় হরিয়ানা ৮ উইকেটে জিতে যায় ১৪ বল বাকি রেখে।
মুম্বাইয়ের নতুন বলের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে অর্জুন নিজের দ্বিতীয় ওভারেই পেয়ে যান উইকেটের স্বাদ। তবে এরপর আর সুবিধা করতে পারেননি।
অনূর্ধ্ব-১৪ থেকে শুরু করে মুম্বাইয়ের সবগুলো বয়সভিত্তিক দলেই খেলেছেন অর্জুন। একসময় পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংও যথেষ্ট ভালো করতেন। সময়ের পরিক্রমায় হয়ে উঠেছেন স্পেশালিস্ট পেসার।
২০১৮ সালে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে খেলেন তিনি দুটি যুব টেস্ট। যুব বিশ্বকাপ দলে অবশ্য জায়গা পাননি। এছাড়া মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় একাদশ ও মূল দলের হয়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী ও প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছেন তিনি। ২০১৭ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরের সময় ইংলিশদের নেট বোলার হিসেবে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন অর্জুন। তার ইয়র্কারে চোট পেয়ে নেট ছেড়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো।
রাজ্য দলের হয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে অন্তত একটি ম্যাচ খেলায় অর্জুন এখন আইপিএলের নিলামে নাম তোলার জন্য বিবেচিত হবেন।