1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ অপরাহ্ন

সমাধান জানা উদ্যোগ অজানা

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

বিশ্বব্যাপী বড় শহরের মূল সড়কগুলোকে গণপরিবহণের সুবিধা উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। ঢাকায় তার উলটো চিত্র। ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা সবার জানা, সমাধানের পথও জানা। কিন্তু কারা উদ্যোগ নেবেন তা অজানা। এই অবস্থা চলতে থাকলে ঢাকার যানজট পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও খারাপ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ঢাকা ইউনিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত ‘অসহনীয় যানজট : সমাধান কী?’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুল হক। এছাড়াও নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

ড. শামসুল হক বলেন, ঢাকায় অনেক মেগাপ্রজেক্ট করা হলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সেগুলো কোনো কাজে আসেনি। ভবিষ্যতেও ভালো কাজে আসবে তেমন আশা নেই। বিশ্বের কোনো দেশে ফ্লাইওভার শহরের মধ্যে করা হয় না। ফ্লাইওভার থাকে শহরগুলোর প্রান্তে। তিনি বলেন, ঢাকাকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন আছে, কিন্তু ঢাকার সক্ষমতা কতটুকু তা আমাদের জানা নেই। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পৈতৃক সূত্রে যদি দুই তলা ফাউন্ডেশনের বাড়ি পাওয়া যায় তাহলে সেটার ওপর ১০ তলা করা যাবে না। ঢাকার অবস্থা তাই হচ্ছে। এই পরিবহণ বিশেষজ্ঞ বলেন, আমি অনেক বিনিয়োগ করতে পারি, কিন্তু রাস্তা ঠিক নাই, ভূমি ব্যবহারের কোনো পথ আমরা রাখিনি। সে কারণে আমরা অনেক টাকা খরচ করে নেওয়া প্রকল্পের সুফল পাচ্ছি না। সমস্যা সমাধানে গণপরিবহণের অবকাঠামো বানাতে হবে, কোনোভাবেই ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য নয়। গণপরিবহণের ওপর জোর দিতে হবে। এমন বাস রাস্তায় নামাতে হবে যাতে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীরা সেই বাসে উঠতে প্রলুব্ধ হয়। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের খরচ এমনভাবে বাড়াতে হবে, যাতে কেউ সেটা ব্যবহারে আগ্রহী না হয়।

স্থপতি মোবাস্বের হোসেন বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডে সচিবদের জন্য আবাসন করা হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে প্রতিদিন সকালে একসঙ্গে ১১৪ জন সচিব-অতিরিক্ত সচিব গাড়ি নিয়ে বের হন। তাদের অনেকে এ সময় সড়কের উলটোদিকে গাড়ি নিয়ে চলেন, এ সময় যানজট তৈরি হয়। তিনি বলেন, ১১৪ জন সচিব, অতিরিক্ত সচিবদের যদি বিশ্বমানের অত্যাধুনিক বাস বা মিনিবাসে করে সচিবালয়ে নিয়ে আসেন তাহলে ওই ১১৪টি গাড়ি রাস্তায় বের হবে না। আপনারা কি পারবেন ওই কাজটি করাতে?

ঢাকায় যানজট সমস্যার সমাধানে কেউ দায়িত্ব নিচ্ছে না। চাইলে এখনো যানজট নিরসন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, এখানে অনেক আলোচনা হলো, সমস্যা এবং সমাধানের পথও জানা গেল, কিন্তু উদ্যোগ কীভাবে আসবে তা জানা গেল না। তাহলে সমাধানটা আসবে কীভাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার টানা ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এ কারণে দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। এই ১৩ বছরে অনেক উন্নতির কারণেই ট্রাফিক সিস্টেমটা আমাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ট্রাফিক সমস্যা নেই পৃথিবীতে এমন কোনো জায়গা নেই। আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি তা মাথায় নিয়ে সে বিবেচনায় সমাধানের চিন্তা করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে বলেই যানবাহন বেড়েছে।

ডুরার সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সংলাপ সঞ্চালনা করেন ডুরার সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিক। এতে ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম, যানজট ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মোল্লা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব