চুয়াডাঙ্গায় চুরির অপবাদে পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে।
এসময় দোকান মালিক প্রায় তিন ঘণ্টা শিশুটির ওপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার। শিশুটিকে এসময় রোদের মধ্যে বেঁধে রাখা হয়। পরে স্কুলের প্রধানশিক্ষক তাকে উদ্ধার করেন।
গতকাল রোববার চুয়াডাঙা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গতরাতে নির্যাতনের একটি ভিডিও ও খুঁটিতে বেঁধে রাখার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়।
নির্যাতনের শিকার ১০ বছর বয়সী শিশুটি দোস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
শিশুটি জানায়, দুপুরে স্কুলে টিফিনের সময় সে ওই দোকানে পাঁচ টাকার একটি ক্রিমরোল কিনতে গিয়েছিল। কিন্তু ক্রিমরোল দেখে পুরোনো মনে হওয়ায় সে সেটা না কিনে চলে আসতে চাইলে দোকান মালিকের মেয়ে তাকে টাকা আছে কি না দেখাতে বলে। ৫ টাকার একটি কয়েন দেখালে, সে বলে এই টাকা সে ওই দোকান থেকে চুরি করেছে। তারপর আশেপাশের দোকানদারের সহায়তায় তাকে ধরে দোকানের খুঁটির সাথে দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়। দোকানদার আলী আহমেদ দোকানে এসে কিল, চড় ও একটি লাঠি দিয়ে পেটায়।
খবর পেয়ে দোস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিন হোসেন সেখানে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
মোমিন হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, যারা সেখানে ছিলেন তারা শিশুটির কাছে তল্লাশি করে পাঁচ টাকা পায়। স্কুলে টিফিনের জন্য পাঁচ টাকা থাকা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তার অর্থ এই নয় যে সে চুরি করেছে।
অভিযোগ নিয়ে দোকান মালিক আলী আহমেদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন তিনি সে সময় দোকানে ছিলেন না। যেহেতু তিনি জানতে পেরেছেন টাকা চুরি হয়েছে সেই অনুযায়ী তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর বলেন, তিনি প্রধান শিক্ষক মোমিনের কাছ থেকে ঘটনা শুনেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।