পুলিশের জন্য বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারের রং নির্ধারণ করতে এ মাসেই জার্মানি যাচ্ছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদসহ তিন কর্মকর্তা। প্রতিনিধিদলে আছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন খলিফা ও আইজিপির স্টাফ অফিসার এসপি মোহাম্মদ মাসুদ আলম।
সোমবার ওই তিন কর্মকর্তার সফর সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, বালিশের কাভারসহ ডাবল সাইজের এক লাখ পিস বিছানার চাদরের শিপমেন্ট নিশ্চিত করতে এই তিন কর্মকর্তা ৯ দিনের জন্য জার্মানি যাচ্ছেন। পাশাপাশি তারা ফ্যাক্টরি একসেপ্টেন্স টেস্টেও (এফএটি) অংশ নেবেন।
২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো সময় তারা এই সফর সম্পন্ন করবেন। সফরের খরচ আয়োজক সংস্থা বহন করবে। সফরে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সফরকালীন যেকোনো ট্রানজিটে অবস্থান তাদের ডিউটির অংশ বলে ধরে নেওয়া হবে। গত বছর দুই লটে বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার কিনতে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। প্রতি লটের জন্য আলাদা টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এই ক্রয়ের কার্যক্রম ২৯ নভেম্বর ২০২১ থেকে ২৮ এপ্রিল ২০২২-এর মধ্যে সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। এই ক্রয় কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই কর্মকর্তারা জার্মানি সফরে যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি কামরুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, যখনই কোনো ফেব্রিক্স কেনা হয় তখনই টেন্ডারে প্যাসিফিকেশন দেওয়া হয়। রংয়ের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রং ঠিক আছে কিনা সেটা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হয়। এবার যেসব বেডশিট ও বালিশের কাভার কেনা হবে সেগুলো হবে ইউরোপিয়ান রংয়ের। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পুলিশে যে ধরণের বেডশিট ও বালিশের কাভারে কালার ব্যবহার করে আমাদের দেশের পুলিশও সে ধরণের কালার ব্যবহার করবে। এবারের কালার হবে জার্মানির।
এক প্রশ্নের জবাবে এআইজি বলেন, যেসব বেডশিট ও বালিশের কাভার কেনা হচ্ছে সেগুলোর দাম ৩০ কোটি টাকা। অতীতে এর চেয়ে কম দামের জিনিস কিনতেও আইজিপির নেতৃত্বে পুলিশের টিম বিদেশ সফর করেছে। তখন তেমন অলোচনা হয়নি। তাই এবারের সফর নিয়ে এত আলোচনার কিছু নেই।