পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে নিখোঁজ হওয়া ৭৬ জনের মধ্যে ৮-৯ জনের খোঁজ পাওয়া গেছে। দেশের সংস্থাগুলো এ নিয়ে কাজ করছে। দেশে এবং দেশের বাইরে আরও কয়েকজনকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন। তবে তার মতে, এসব নিয়ে এই মুহূর্তে বৈশ্বিক কোনো চাপ নেই। এছাড়াও র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুতই ল ফার্ম নিয়োগ করার ইঙ্গিত দেন তিনি।
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় শুরু হয়েছে মানবাধিকার কাউন্সিলের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং কমিটির ৫ দিনের বৈঠক। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি বছরে তিনবার বৈঠকে মিলিত হয়। এবারের বৈঠকের এজেন্ডা প্রকাশ হয়নি। তবে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর একটি তালিকা বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭৬ ব্যক্তি গুম হয়েছে। বিষয়টি তাদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। আর নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের কাছে তথ্য চেয়েছে। তবে সরকারের দাবি, তালিকার সবাই নিখোঁজ নন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ৭৬ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে খুঁজে পাওয়ার কথা আমরা শুনেছি। তাদের ব্যাপারে সর্বশেষ তথ্য হলো ৮-৯ জনকে পাওয়া গেছে। সেগুলো আমরা তাদেরকে (ওয়ার্কিং কমিটি) জানিয়ে রেখেছি। এছাড়াও এ বিষয় নিয়ে যেসব সংস্থা কাজ করে, তারা এগুলো খতিয়ে দেখছে। তিনি বলেন, দেশে এবং দেশের বাইরে আরও কয়েকজনকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে, কী কী ক্লু আছে, সেগুলো আমরা দেখব। এক্ষেত্রে যে তথ্য পাওয়া যায়, সেগুলো আমরা মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানিয়ে রাখব। যাতে ঢালাওভাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো ক্যাম্পেইন কিংবা আপত্তিকর কোনো সুপারিশ না আসে।
যুক্তরাষ্ট্রে ল ফার্ম নিয়োগ সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বাড়তি নজর বাংলাদেশের দিকে। বিষয়টি সরকারের জন্য অস্বস্তির। তবে গুমের এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই করার কথা বলছে সরকার।