মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পদে এক্সটেনশন/চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চাই না। এ শিরোনামে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর বিসিএস কৃষি ক্যাডার (মৃত্তিকা) এসোসিয়েশন প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি ব্যানার ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জানা গেছে, বর্তমান ডিজি জনাব বিধান কুমার ভান্ডার, বিসিএস (কৃষি) ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক-এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তার চাকুরী মেয়াদকাল আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। সরকারী বিধান অনুযায়ী তিনি দায়িত্ব থেকে অবসরগ্রহন করবেন। এরপর পরবর্তী একজন দায়িত্ব নিবেন এবং সেই অনুযায়ী কাগজ পত্র/ফাইলপত্র তৈরি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের (কৃষি মন্ত্রণালয়) কাছে প্রেরণ করতে হয়। কিন্তু বর্তমান ডিজি (মহাপরিচালক) তার পরবর্তী জনের কোন কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে না পাঠিয়ে তিনি তার নিজের কাগজপত্র পাঠিয়েছেন, তার ডিজি পদের এক্সটেনশন হওয়ার জন্য। এতে মৃত্তিকার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। অত্র ডিপার্টমেন্টের ক্যাডার এসোসিয়েশন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদ করেন।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংস্থায় আঞ্চলিক ও গবেষণাগারসহ সারাদেশে ২৬টি নতুন অফিস স্থাপন করা হয়েছে। নতুন কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও সেখানে কোন লোকবল নেই। কোথাও কোথাও একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারি দিয়ে অফিস পরিচালনা করছেন। কিন্তু বর্তমান ডিজি গত ৩ বছর বাবদ কর্মচারীদের নিয়োগবিধি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণই করেননি। এতে অত্র কার্যালয়ের কর্মচারীদের মাঝে চরম ক্ষোভর সৃষ্টি হয়। কর্মচারীরা মিছিল মিটিং করেন। আরো জানা যায় যে, বর্তমান ডিজি নতুন অফিসের জন্য গত বছর আসবাবপত্র ও ফার্নিচার কিনে ঢাকা থেকে গাড়ি ভাড়া করে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রেরণ করেন। অথচ সেই আসবাবপত্র নিজ নিজ জেলা থেকে ক্রয় করলে খরচ পড়ত অর্ধেকের কম। ফার্নিচার ও আসবাপত্র ক্রয় করে তিনি যে দুর্নীতি করেছেন তা কৃষি মন্ত্রনালয়ের কাছে প্রতীয়মান হয়। কৃষি মন্ত্রনালয় তার কাছ থেকে কৈফিয়ত দাবি করেছেন।