নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে গত সপ্তাহে পিকআপ ভ্যান কৌশলে পুকুরে ফেলে পালানো আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইয়াবাসহ আটক ওই চালক গাড়িটি পানিতে ফেলে দেওয়ায় ভিতরে থাকা দুই এসআই ঘটনাস্থলে নিহত হন।
এরপর সোনারগাঁও থেকে কৌশলে পালিয়ে নিজ বাড়ি চট্টগ্রামে চলে যান।বুধবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আমিরাবাদ বাঁশখালিয়া পাড়ার তৈয়ব মিয়ার ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আলমগীরকে গ্রেফতারের পর রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সোনারগাঁ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় পিকআপ ভ্যান পুকুরে পড়ে সোনারগাঁও থানার দুই এসআই নিহত হন। আহত হন আরও এক এএসআই।
নিহতরা হলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গার মুনসুরাবাদ এলাকার কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহমেদ এবং গোপালগঞ্জের ভাটপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে শরীফুল ইসলাম। দুই জনই সোনারগাঁ থানায় এসআই পদে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, টেকনাফ থেকে ৫০ হাজার ইয়াবার একটি চালান আসছে- এমন খবরে মেঘনা টোলপ্লাজায় ১৭ জানুয়ারি অভিযান চালায় পুলিশ। পরে সন্দেজনক একটি গাড়ি থামাতে সংকেত দিলে এক কনস্টেবলকে ধাক্কা দিয়ে চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
পুলিশের আরেকটি টিম মোগড়াপাড়া এলাকা থেকে ৪২ হাজার ইয়াবাসহ আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার গাড়িও আটক করা হয়।
গ্রেফতারের পর আসামিকে নিয়ে তারা সরাসরি জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে চলে যান। এ সময় আসামিই গাড়ি চালায়। এসপি অফিসে তাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর থানার ফেরার পথে আসামিকে নিয়ে থানায় রওনা দেন দুই এসআই ও এক এএসআই। তিনজনের কেউই গাড়ি চালাতে পারেন না। তাই আসামিকে দিয়েই গাড়ি চালানো হয়।
সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া এলাকায় গাড়ি পানিতে ফেলে কৌশলে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান আলমগীর। এরপর গাড়িটি পাশের পুকুরে পড়ে তলিয়ে যায়। এতে দুই এসআই মারা যান এবং এক এএসআই গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা পুকুর থেকে পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।