নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে না। প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে যারা নৌকা জেতানোর জন্য এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি মনে করি ইভিএমে কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে যাওয়া উচিত না। আমি সর্বাবস্থায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে থাকব।
সোমবার দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে নেতাকর্মীদের জামিন শুনানির পর এ কথা বলেন তিনি।
তৈমুর বলেন, নির্বাচনের সময় যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা সবাই কোনো না কোনভাবে আমার সঙ্গে সম্পৃক্ত। কেউ ড্রাইভার, কেউ মাইক অপারেটর। কেউ পোস্টার লাগানোর দায়িত্বে ছিল। কেউ রিকশার প্রচারণার দায়িত্বে ছিল। তারা রাত ১টা পর্যন্ত আমার বাড়িতে অবস্থান করেছে। রাত ১টায় যখন তারা আমাকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে বের হয়ে যায় তখন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ নৌকার প্রার্থীকে জয়লাভ করানোর জন্য ওই লোকগুলোকে গ্রেফতার করে এবং আমাকে ফলস পজিশনে ফেলেছে।
তিনি বলেন, যে গাড়ির ড্রাইভারের নাম ও গাড়ির নাম্বার নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া ছিল। আমার চিফ এজেন্ট এটিএম কামালের গাড়ি। সে গাড়ি টাকা কাগজসহ তারা নিয়ে যায় এবং পরে তা ফেরত দেয়। এ লোকগুলোকে তারা এতদিন হয়রানি করল শুধুমাত্র নৌকাকে জয়লাভ করানোর জন্য।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, এসপি ডিসি বলেছিলেন নিরপেক্ষ থাকবে; কিন্তু এই এসপির নেতৃত্বে আমার লোকগুলোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩৫ জনকে তারা গ্রেফতার করেছে এবং ২শ লোকের বাড়িতে হানা দিয়েছে। নির্বাচনের দিন হাতির ব্যাজ লাগানো লোককে গ্রেফতার করেছে আবার নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে ছেড়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, নৌকার ভরাডুবিকে সামনে দেখে এই সরকার ও তার এজেন্সির কারণে ন্যুনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। আমি অত্যাচার নির্যাতনের মধ্যে নির্বাচনটা করেছি। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলেছিল তারা জামিন দিবে কিন্তু দেয়নি। আজকে তাদের জামিন হলো।
তিনি আরও বলেন, এখানে আমার একটা ছেলে আছে জয়দেব মণ্ডল। সে হিন্দু, আমার নির্বাচন করছিল। তাকেও ধরে হেফাজতের মামলায় দিয়ে দিয়েছে। এখন হিন্দুরাও হেফাজত করে। যারা জজ মিয়া নাটক বানিয়েছিল। সেই পুলিশ অফিসাররাই এসব নাটক করে সরকারকে খুশি করতে আমার লোকজনকে জেলে নিয়েছে।