নওগাঁয় টয়লেটে গিয়ে নিজের বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেললেন সৈকত ইসলাম নামে এক কলেজছাত্র। সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের চকচপাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত কলেজছাত্র সৈকত ইসলাম (২৫) চকচপাই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে নওগাঁ সরকারি কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের ছাত্র।
সৈকত ইসলামের খালাতো ভাই আরাফাত হোসেন জানান, সোমবার সকালের খাবার খেয়ে তার নিজের রুমে ঘুমিয়ে ছিল সৈকত। দুপুর ১টার দিকে টয়লেটে গিয়ে ব্লেড দিয়ে নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। কিছুক্ষণ পর তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। দুপুর আড়াইটার দিকে বগুড়া থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরাফাত আরও বলেন, যতদূর জানি সৈকত দুই মাস থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ। এছাড়া গত ১০-১৫ দিন থেকে কারো সঙ্গে কোনো কথা বলে না। এমনকি বাড়ি থেকে বেরও হয় না। এখন কেন এমনটা করলো বা অন্য কোনো কারণ আছে কি-না। সেটা এখন বলা যাচ্ছে না।
নওগাঁ ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমা সুলতানা মনিকা জানান, সৈকত এর পুরুষাঙ্গ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ জন্য অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। রোগীর অবস্থা খুব গুরুতর। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়াতে পাঠানো হয়। বগুড়া থেকে ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, বিষয়টি শুনেছি। কি কারণে ওই কলেজ ছাত্র তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেললো! বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।