বুধবার সকাল থেকে বরগুনার আমতলীতে কুয়াশাচ্ছন্ন দিনে কনকনে শীতের মধ্যে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে দরিদ্র মানুষের ভোগান্তি আর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে উপজেলায় সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। স্থানীয়ভাবে আমতলীতে বুধবার হাটের দিন থাকলেও শহর ছিল প্রায় ফাঁকা। আমনের ফসল তোলার ভরা মৌসুমে অসময়ের বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষকের গোলায় ধান তোলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বৃষ্টির ফলে ইটভাটা মালিকদের মাথায় হাত পড়েছে। অনেকে তাড়াহুড়ো করে পলিথিন বিছিয়ে কাঁচা ইট রক্ষার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। কয়েকটি ভাটায় লক্ষাধিক কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে বলে ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মো. নাজমুল আহসান নান্নু জানিয়েছেন।
সরেজমিন বেশ কয়েকটি এলাক ঘুরে দেখা গেছে, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ কনকনে শীত, কুয়াশা এবং বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজে বের হতে পারেনি।
তারিকাটা গ্রামের দিন মজুর সফেজ উদ্দিন বলেন, ব্যামালা ঠাণ্ডা। হেরপর পর আবার দেওয়ইতে কোনো কাজ কাম হরতে পারি নাই।
বৈঠাকাটা গ্রামের জেলে নজরুল ইসলাম জানায়, কুয়াশায় খালে কিছু দেহা যায় না। হেইয়ার লইগ্যা মাছ ধরতে যাইতে পারি নাই। আজকে ব্যামালা ঠাণ্ডা লাগজে।