1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

তাহারা শুক্রবারের চেয়ারম্যান!

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১

নাদিম হায়দার, ব্যুরো চীফ মুন্সীগঞ্জ

প্রতি কার্য দিবসে স্ব-স্ব পরিষদে হাজির হয়ে পরিষদের সদস্যদের কার্য বন্টন ও নানা বিধ কার্যক্রমসহ স্থানীয় পর্যায়ে হাজির থেকে জনসাধারণকে সেবা প্রদান করার কথা থাকলেও উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান তা মানছেন না। ফলে ইউনিয়ন বাসী ও সেবা গ্রহিতারা তাদের কাঙ্খিত সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। পরিষদের চেয়ারম্যানরা যাচাই-বাছাই শেষে চারিত্রিক সনদ ও চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকেন। কিন্তু পরিষদে তাদের নিয়মিত উপস্থিতি না থাকায় কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই চারিত্রিক সনদ ও চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট প্রদান করা হচ্ছে। উক্ত সনদ ও সার্টিফিকেটে পরিষদের চেয়ারম্যানরা আগে থেকেই স্বাক্ষর করে রেখে যাওয়ার ফলে চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষরে যাচাই-বাছাই ছাড়াই চারিত্রিক সনদ ও চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ইস্যূ হচ্ছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে। পরিষদ ও স্থানীয় ভাবে হাজির থেকে জনসাধারণকে সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যানরা বছরের অধিকাংশ সময় তাদের নিজেদের ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন। বছরের অধিকাংশ সময় পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা না করেও তুলে নিচ্ছেন বেতন ভাতা। এমনকি সারা বছর ঢাকায় থেকে সেরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মত ঘটনাও এ উপজেলাতেই ঘটেছে। ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়ীত্বে অবহেলা করেও গত বছর মধ্যপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন! উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে ইছাপুরা, রশুনিয়া, জৈনসার, মালখানগর, বয়রাগাদি, লতব্দী,বাসাইল,কেয়াইন ও শেখরনগরের ইউপি চেয়ারম্যানদের পরিষদে নিয়মিত হাজির হয়ে কার্যক্রম পরিচালনাসহ স্থানীয় পর্যায়ে হাজির থাকতে দেখে গেলেও মধ্যপাড়া, চিত্রকোট, রাজানগর, বালুচর ও কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পরিষদ ও স্থানীয় পর্যায়ে হাজির থাকতে দেখা যায়নি। এমনকি শুক্রবার ব্যতিত অন্যান্য দিন পরিষদে গিয়েও তাদের দেখা মেলে নি। স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, তারা কেবল শুক্রবার, সামাজিক ও দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এলাকায় আসেন। এসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তারা ক্ষনিকের জন্য পরিষদে বসেন। বছরের অধিকাংশ সময় নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য এলাকার বাইরে সময় কাটালেও ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সেসব চেয়ারম্যানরা স্থানীয় পর্যায়ে হাজি থেকে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ ব্যপারে পরিষদে অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তারা সদুত্তর দিতে না পেরে কথা এড়িয়ে যান। এদের মধ্যে অনেকের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলে তারা ফোন রিসিভ করেন নি। ইউনিয়ন সমূহের স্থানীয় লোকজনের সাথে এ ব্যপারে কথা বললে তারা বলেন, নির্বাচন এলে চেয়ারম্যানদের দেখে মেলে। এছাড়া তাদের ছাই দিয়েও ধরা যায় না। কোন বিচার আচারের জন্য তাদের ডাকতে হলে আগে জানতে হয় তারা দেশে কবে আসবেন। আমরা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যানদের নির্বাচিত করি৷ অথচ তারা আমাদের ভোটে জেতার পর আমাদেরই খবর রাখে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চেয়ারম্যান বলেন, আমার দায়ীত্ব আমাকে পালন করতেই হবে। এতে গাফেলতি করলে চলবে না। মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাদের সুখ দুঃখে পাশে থেকে সেবা করাইতো একজন চেয়ারম্যান প্রধান দায়িত্ব। আমি একজন জণপ্রতিনিধি হয়ে আমার দায়ীত্বে অবহেলা করার প্রশ্নই আসে না। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, জণপ্রতিনিধিদের প্রত্যেকদিন পরিষদে বসতে হবে এমন নিয়ম আছে কিনা আমার জানা নেই। স্থানীয় লোকজন যদি এমন লোককে চেয়ারম্যান বানায় তাহলেতো তাদের কাছ থেকে তারা সময় কম পাবেই

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব