যশোরের বাঘারপাড়া জামদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সমাবেশে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে মেম্বর প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে। হামলায় আওয়ামী লীগের অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে জামদিয়া ইউনিয়নের ভাগুড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, জামদিয়া ইউনিয়নের ভাগুড়া গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে শাহীন রেজা (৩৫), জসিম উদ্দিন দুলু, (২৮), আমিন মোল্লার ছেলে তরিকুল মোল্লা (৩০), ইসমাইল বিশ্বাসের ছেলে দেলোয়ার বিশ্বাস (৩৫), ইদ্রিস বিশ্বাস (৫০), হবিবর রহমানের ছেলে লিকু (২৮), মিজানুর রহমানের ছেলে রনি (২২), ফসিয়ার বিশ্বাসের ছেলে মিলন বিশ্বাস (৪৫), সিরাজ মন্ডলের ছেলে মুরাদ মণ্ডল (৪৫) ও তার ভাই তৌসিফ মণ্ডল (৩৫)। এর মধ্যে লিকুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া আহতরা সবাই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নৌকা প্রতীকের সমর্থক আহত ইদ্রিস বিশ্বাস জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ভাগুড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরিফুল ইসলাম তিব্বতকে বিজয়ী করার লক্ষে প্রচারণায় আসেন বাঘারপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ভিক্টোরিয়া পারভীন সাথী।
সভায় প্রধান অতিথি উপজেলার চেয়ারম্যান দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানকালে ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের প্রার্থী আসলাম হোসেন ও মোরগ প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী সোলায়মানের সমর্থকরা হামলা চালায়।
এসময় স্বতন্ত্র ও মেম্বার প্রার্থীর ২০ সমর্থক চাপাতি, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢুকে ভাংচুর ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকের কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও নেতাকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা ও গুরুতরদের যশোর হাসপাতালে নিয়ে আসনে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতংক সৃষ্টি হয়েছে। বিশৃঙ্খলা দমনে ও এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, আহতদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এর মধ্যে লিপুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাঘারপাড়া থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই রতন কুমার হাজরা জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।