নাইক্ষ্যংছড়ির পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশ থেকে গত সোমবার ভোর চারটায় এক নবজাতককে কুড়িয়ে পাওয়া গেছে। দরিদ্র পরিবারের পাখি আক্তার নামের এক নারী ওই ছেলে সন্তানকে কুঁড়িয়ে পান। নবজাতকের পিতা-মাতা কে এমন প্রশ্ন সবার। কিন্তু উত্তর মেলেনি। হয়তো মিলবেও না কোনো দিন। তবে পিতৃ-মাতৃহীন নবজাতকের চিকিৎসাসহ যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন গর্জনিয়ার পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উদীয়মান রাজনীতিক ব্যাক্তি সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়- নবজাতকে যে কুঁড়িয়ে পেয়েছে সে অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের পুত্রবধু। সে নিজেই গর্ভবতী। সে আবার দুসন্তানের জননী। তাই সোমবার দুপুরে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানকে অবগত করে এ নবজাতককে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য গর্জনিয়ার তরুণ রাজনীতিক ব্যাক্তি সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে হাসপাতালের নবজাতক, শিশু ও কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এসএম জামান তাঁকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। তিনি জানিয়েছেন-নবজাতক সুস্থ্য আছেন।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বলেন- নবজাতকটি সুস্থ্যভাবে যেন বেড়ে উঠতে পারে এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। নবজাতকের চিকিৎসাসহ যাবতীয় দায়িত্ব নিয়ে হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী সত্যিই একটি মহৎ কাজ করেছেন। নবজাতকের স্থায়ী দায়িত্ব অর্পনের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে নবজাতককে গর্জনিয়ার তরুণ সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে নিয়ে যাওয়ায় অনেকে সাধুবাদ জানান। হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অভিভাবকহীন ছেলেটিকে তত্ত্বাবধানের জন্য নিয়ে আসি।