পটুয়াখালীর বাউফলে দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে দুই চেয়ারম্যানকে নিবৃত্ত করেন। ঘটনার পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুপুরে হাটবাজারের টেন্ডার সংক্রান্ত কাজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। তিনি ইউএনওর অফিস সহকারী নুরুল হকের কক্ষে কাজ করছিলেন।
এমন সময় ওই অফিস কক্ষের সামনে দিয়ে দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এএনএম জাহাঙ্গীর হোসেন ইউএনওর কাছে যাওয়ার সময় একে-অপরকে ‘গুণ্ডা শালা’ বলে সংবোধন করেন। তখন এ বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুপুর ২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউএনও অফিসে কাজ করার সময় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আমাকে ‘গুণ্ডা শালা’ বলে গালি দিয়েছে। জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে, চাকু দিয়ে আমাকে আঘাত করেছে। অল্পের জন্য আমি প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। জাহাঙ্গীর ও তার পালিত সন্ত্রাসী রাছেল, দিদার, মনির ও তাহেরসহ ৭/৮ জন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। সবকিছু ইউএনও অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে সত্যতা পাবেন। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি চেয়ারম্যান শাহিনকে দেখে প্রথমে সালাম দেই। উত্তরে সে আমাকে ‘গুণ্ডা শালা’ বলেছে। এরপর যা হয়েছে তা আপনি ইউএনও সাহেবের কাছ থেকে জেনে নিন।
তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান শাহিন যা বলেছেন তা মিথ্যা ভিত্তিহীন। নিজের দোষ ঢাকতে গিয়ে চেয়ারম্যান শাহিন মিথ্যাচার করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, হৈ চৈ শুনে আমি সেখানে গিয়ে দুই চেয়ারম্যানকে নিবৃত করি।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়েছে। এখন পর্যন্ত কারও কোনো অভিযোগ পাইনি। পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।