নাদিম হায়দার ব্যুরোচীফ মুন্সীগঞ্জ,
আমার নির্বাচনে মারামারি করে যদি কেউ মারা যায় তাহলে আমি তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিবো! আর যদি কেউ মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি থাকে তাহলে আমি তার সম্পূর্ণ খরচ বহন করবো এমনকি তার সংসারের খরচও আমি চালাবো। “আমি মাইট্টা ধোরা সাপ, চুপ করে শুয়ে থাকি, আর যখন কামড় মারি তখন মাংসসহ ছিড়ে ফেলি”। গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর নির্বাচনি কর্মী সভায় এমন বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাইফুল ইসলাম যুবরাজ। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া উস্কানিমূলক বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে ভাইরাল হয়েছে। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউপি চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যে নির্বাচনি সহিংসতার ইঙ্গিত বহন করছে বলে মনে করেন সুশীল সমাজের সচেতন মহলের লোকজন। এতে করে ইউপি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে সঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন সভা সমাবেশে উস্কানী মূলক বক্তব্য দিয়ে কর্মীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন চেয়ারম্যান চাইফুল ইসলাম যুবরাজ। এ ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করছেন তারা। এদিকে গত ১২ই সেপ্টেম্বর বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চর গোলগোলিয়া মৌজাস্থিত প্রায় ৩ একর জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে বেআইনি ভাবে দখলকৃত সম্পত্তিতে ইটভাটা নির্মাণ ও শ্রমিকদের থাকার ঘর নির্মাণ করেছেন। এ ঘটনায় বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তার দুই ছেলেসহ ৭ জনকে বিবাদী করে মুন্সিগঞ্জ জর্জ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা। ইউপি চেয়ারম্যান ছাইফুল ইসলাম যুবরাজ কর্তৃক জোরপূর্বক অন্যের সম্পত্তি দখল নিয়ে দেশের টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে গত ১৭ই অক্টোবর বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাইফুল ইসলাম যুবরাজের বিরুদ্ধে ঘুষ ও সনদ বানিজ্যের অভিযোগসহ নানা দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রাশসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বাসাইল ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ আইয়ুব খান। অভিযোগখানা তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসন আমলে নিয়েছেন। উল্লেখ্য,১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সিরাজদিখান উপজেলা। বর্তমানে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নেই চলছে প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার প্রচারণার কাজ। উপজেলার ৫ নং বাসাইল ইউনিয়নে দলীয় প্রতিকে ইউপি নির্বাচন অংশ গ্রহণের জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ছাইফুল ইসলাম যুবরাজ ও বাসাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম টিটু। তারা উভয়ে নির্বাচনি অংশগ্রহণের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ বরাবর জীবন বৃত্তান্ত ইতোমধ্যে জমা দিয়েছেন।
বাসাইল বাসাইল ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ আইয়ুব খানের কাছে লিখিত অভিযোগের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সাইফুল ইসলাম যুবরাজ এর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছি। যা তদন্ত করবেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক তখনিই প্রমান হবে সাইফুল চেয়ারম্যান অন্যায় করেছে কি না?
এ ব্যপারে বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাইফুল ইসলাম যুবরাজ বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো ভিত্তি হীন আমি কাওকে কখনোও কোন ভূয়া ওয়ারিশ সনদ প্রদান করি নি আর আইয়ুব মেম্বার একজন অসাধু লোক তিনি অনেক অনিয়ম করেছে যার অনেক প্রমান আছে আমার কাছে। আমি কোন অনিয়ম করি নাই ইউনিয়ন বাসী তার প্রমান।
আরও পড়ুন...