শরীয়তপুরে ইউপি নির্বাচনে মিছিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি, বোমা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় বোমার আঘাতে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ঢালীর (নৌকা) ডান চোখ মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এছাড়াও গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতদের ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ২ ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে রুদ্রকর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর (আনারস) কার্যালয় ভাঙচুরসহ ৩টি মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এসআইসহ ৭ পুলিশ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পালং মডেল থানা পুলিশ ১০৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ঢালী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালীর সমর্থদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে শনিবার দুপুরে বিদ্রোহী প্রার্থী তার নিজ বাড়িতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রুদ্রকর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মজিবুর রহমান খোকন বলেন, আমরা আমাদের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা করাছিলাম। হঠাৎ এসে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন এসে আমাদের ওপর বোমা হামলা করে। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালী তার নিজ বাড়িতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার সমর্থকরা ভোট চাইতে এলাকায় যেতে চাচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর লোকজন আমার লোকজন ও নির্বাচনী অফিসে হামলা করে ভাঙচুর করে। পুলিশ এসে আমার লোকজনের ওপর গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধসহ আমার ২০-২৫ জন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন।
পালং মডেল থানার ওসি মো. আক্তার হোসেন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালীর লোকজন হামলা করে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এতে পুলিশসহ ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) এসএম মিজানুর রহমান বলেন, রুদ্রকর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সুবচনী হাটে কার্যালয়ে বসে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। হঠাৎ করে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন এসে তাদের ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এসআই গৌতমসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন।