1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
আইপিএলের নিলাম শেষে মুস্তাফিজদের নিয়ে বার্তা দিলো চেন্নাই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে ফিরে যেতে হবে: মির্জা ফখরুল ইসলামাবাদের সব মার্কেট বন্ধ ঘোষণা, বড় অভিযানের শঙ্কা শেখ হাসিনাসহ অর্ধশতাধিকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের অভিযোগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না : তারেক রহমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টারি গ্রুপের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে আবারও পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম আসছে পণ্যবাহী সেই জাহাজ বাংলাদেশ ব্যাপক শ্রম সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস তাহসানকে পেয়ে আনন্দিত শাকিব খান বিস্ফোরক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে ভয়াবহ অনিয়ম বিলের নামে বাড়তি আদায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১

কোনো নির্বাচন ছাড়াই ২০১৩ সাল থেকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সভাপতি পদে তোফিক এহসান ও সুব্রত সরকার সাধারণ সম্পাদক পদ দখল করে আছেন । অভিযোগ রয়েছে গত ৮ বছরে বিভিন্ন বিলের নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১০০ কোটি টাকা । এ দুজনের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন মার্কেটের তথাকথিত কর্মকর্তা শাহিন হাওলাদার , অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার মোক্তার হোসেন , অ্যাকাউন্টস এক্সিকিউটিভ অ্যান্ড কালেকশন মাসুম বিল্লাহ ।

তারা সবাই শুরুতে মাসিক ৫-৬ হাজার টাকা বেতনে ঢুকলেও এখন মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে কয়েকটা দোকানসহ বাড়ি ও গাড়ির মালিক । এছাড়া গত আট বছরে মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন ইভেন্ট ও মেলার নামে যথাযথ হিসাব না দিয়ে মার্কেটের প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদা আদায় এবং বিভিন্ন বড় বড় করপোরেট স্পন্সরশিপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন

জানা গেছে , সুব্রত সরকার নিজেকে বাংলাদেশ আওয়ামী অনলাইন লীগের সভাপতি দাবি করেন । এই ভুঁইফোড় সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কমিটি বাণিজ্যের পাশাপাশি নামে বেনামে বাগিয়েছেন নানা সম্পত্তি । বাংলাদেশ অনলাইন লীগ গঠন করে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলেছেন সুব্রত । কারও অনুমতি না নিয়ে নিজেই প্যাড বানিয়ে তৈরি করেন আওয়ামী অনলাইন লীগ । কেন্দ্রীয় নেতা বানানোর নামে টাকার বিনিময়ে করছেন কমিটি বাণিজ্য । অভিযোগ রয়েছে , ১৫ তলা ভবনটিতে দোকান রয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার স্কয়ার ফুটজুড়ে । মার্কেটের সব দোকানিকে সার্ভিস চার্জ দিতে হয় বর্গ ফুটের হিসেবে । করোনাকালে মার্কেট বন্ধ থাকলেও অর্থ আদায় করা হয় ঠিকই । কিছু ক্ষেত্রে এক টাকার বিল নেওয়া হয়েছে ১০ টাকা ।

রাজউকের প্ল্যান অনুযায়ী এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার সোসাইটি সেন্টার তথা মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারটি ১৫ ( অবৈধভাবে তোলা ১ তলা তথা ১৫ তম তলা ) তলাবিশিষ্ট একটি বহুতল ভবন । যার বেজমেন্ট হচ্ছে দুটি ফ্লোরে । কিন্তু তারা রাজউকের প্ল্যান ভেঙে তুলেছেন আরেক তলা । আর সেখানেই গড়েছেন অনলাইন লীগের অফিস । সেই অফিসে সর্বদা নিয়োজিত থাকে সুব্রতের ক্যাডার বাহিনী , রয়েছে প্রতিবাদকারীদের জন্য টর্চার সেলও । এছাড়াও গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা দখল করে গড়েছেন খাবার হোটেল ও গোডাউন । প্রতিদিনের গাড়ি পার্কিংয়ের উত্তোলিত লাখ লাখ টাকা তারা ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করেছেন ৮-১০ বছর ধরে । যারাই এসবের প্রতিবাদ করেছেন তারাই নির্যাতন আর মামলার শিকার হয়েছেন । এর মধ্যে প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেকেই হয়েছেন মার্কেট ছাড়া ।

ভয়ে দেশ ছেড়েছেন কেউ কেউ । এছাড়া মার্কেটের ১৪ তলায় মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় প্রতিবাদকারীদের আরও অভিযোগ আছে , বিদ্যুতের ডিপিডিসি খাতে চলতি বছরের শুরুতে ৭ লাখ ৫৮ হাজার ২৮২ টাকা জমা দিলেও মার্কেট থেকে ১০.৬০ টাকা স্কয়ার ফিটে কমন স্পেস বাবদ মার্কেট সোসাইটি তুলেছেন ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ও দোকান স্পেস বাবদ ১৩.৫০ টাকা স্কয়ার ফিটে তুলেছেন ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা । এভাবে ডিপিডিসি খাতের নামে মার্কেটের কমন স্পেস ও দোকান স্পেস থেকে বিগত ৮ বছরে তুলেছেন প্রায় ৪৪ কোটি টাকা । একইভাবে চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে ওয়াসার বিল মাত্র ৭০ হাজার টাকা জমা দিলেও এর বিপরীতে তুলেছেন প্রায় ৩ লাখ টাকা । যা ৬ মাসে ১৮ লাখ এবং ৯ বছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা । এদিকে মার্কেটের ১২ জন আনসার সদস্যের বেতন বাবদ সরকারি খাতে প্রতি মাসে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা জমা দিলেও প্রতি মাসে মার্কেট থেকে এই খাতে তুলছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা । যা বিগত ৯ বছরে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা । আর মার্কেটের ১৩ জন প্রাইভেট সিকিউরিটির মাসিক বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার দিলেও তার বিপরীতে তুলেছেন ৫ লাখ ৪৬ হাজার । যা বিগত ৯ বছরে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা । ১৫ জন ফ্লোর ক্লিনারের বেতন মাসে মাত্র দেড় লাখ টাকা দিলেও প্রতি মাসে তুলছেন ৫ লাখ ৮ হাজার টাকা । যা থেকে বিগত ৯ বছরে তুলেছেন ৬ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি টাকা । অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে মাত্র ৮-১০ জন কর্মকর্তা – কর্মচারী থাকলেও তাদের বেতন বাবদ মাসে তোলা হয় প্রায় ৯ লাখ টাকা । যা থেকে বিগত ৮ বছরে তুলেছেন প্রায় ১১ কোটি টাকারও বেশি । এভাবে অন্যান্য ইউটিলিটি বিল যেমন- এসি , লিফট , এস্কেলেটর রিপেয়ার ও মেন্টেইনেন্স বাবদ মাসিক তুলছেন প্রায় ১১ লাখ টাকা করে । যা থেকে বিগত ৮ বছরে তুলেছেন প্রায় ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ।

জানা যায় , বিভিন্ন সময়ে মার্কেটের প্রথম তলা থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত রাজউকের অনুমোদিত নকশার নিয়ম ভেঙে , প্রতিটি ফ্লোরে বাথরুম ভেঙে করিডোরের মূল নকশার বাইরে অফিস , দোকান ও ফুড কোর্ট হিসেবে ভাড়া দিয়ে অগ্রিম ভাড়া ও অগ্রিম নগদ প্রায় ৩ কোটি টাকা তোলা হয় গত কয়েক বছরে । এ বিষয়ে মার্কেটের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন , এখানে মালিক সমিতির দায়িত্বে যারা আছেন , তারা কোনো দোকানিকেই ছাড় দেননি । করোনাকালেও সমিতির তরফ থেকে কোনো ছাড়া দেওয়া হয়নি । করোনার আগে সার্ভিস চার্জ যেমন ছিল দোকান বন্ধ থাকা অবস্থায়ও সার্ভিস চার্য তেমনই নেওয়া হয়েছে । এসব নিয়ে আমাদের মধ্যে কেউ প্রতিবাদ করলে দোকানে এসে লাইট ফেলে দেয় , ভাঙচুর করে । তাদের পালিত ক্যাডার দিয়ে আমাদের টর্চার করে । এর মধ্যে নজরুল হাজারী নামের এক ব্যবসায়ী প্রতিবাদ করায় তাকে চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে । তবে এই নজরুল হাজারী বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ পদে থাকলেও এখন পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়া বা উত্তোলন করার হিসাব জানেন না । এমনকি কোনো চেকে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয় না বলেও জানান তিনি । এসব নিয়ে প্রতিবাদ করায় নজরুল হাজারীকে বেদম মারধর করা হয় । এ ঘটনায় রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় মামলা করলেও পরে সুব্রত গংয়ের চাপে পরদিনই মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন । নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মোবাইল দোকানি বলেন , জুন মাসে আমার দোকানের বৈদ্যুতিক বিল দিতে তিন দিন দেরি হয় । পরে তারা এসে আমাদের দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয় । আমি এর প্রতিবাদ করায় আমাকে ১৪ তলার একটি রুমে নিয়ে বেদম মারধর করে । পরে উল্টো আমার নামে মামলা দেওয়া হয় । এ অবস্থায় আমরা তাদের হাত থেকে রেহাই চাই ।

পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি । মার্কেটের সাবেক ব্যবসায়ী ও বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী শ্যামল বলেন , অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমাকে অনেক নির্যাতন করেছে তারা । আমার নামে বেশ কয়েকটি মামলাও দিয়েছে । একপর্যায়ে তার লোকজন আমার গাড়িতে গুলি করে । শেষ পর্যন্ত আমি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি । উল্লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুব্রত সরকার বলেন , অনলাইন লীগের সভাপতির পরিচয় আমাকে দিতে হয় না । আমি সর্বোচ্চ ভোটে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি । জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপায়ণের জন্য যে প্রচার আছে , সেগুলো নিজেদের খরচে প্রচার কর

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব