করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই সর্বোচ্চ সংক্রমিত এবং সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির শিকার দেশ হিসেবে নাম উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রের। নতুন বছরের প্রথম মাসে সেখানে আরও ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষ করোনায় মারা যেতে পারেন। সম্প্রতি এই ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভাল্যুয়েশন।
তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে গত ডিসেম্বরেই মারা গেছেন ৭৭ হাজার ৫০০ জন। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যাও দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, বড়দিনের পরে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন ঢেউ শুরু হয়েছে। আর এর আঘাতে চলতি মাসে অন্তত ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লাখ ৫৬ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
চীনে ২০১৯ সালের শেষদিন প্রথমবারের মতো নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এটি ব্যাপক হারে ছড়াতে শুরু করে গত বছরের মাঝামাঝি। দেশটিতে প্রথম ৫০ লাখ সংক্রমণের ঘটনা ঘটে ২০০ দিনে, এর পরের ৫০ লাখ যোগ হয় মাত্র ৯৩ দিনে। রোগীর সংখ্যা দেড় কোটিতে পৌঁছায় পরবর্তী ৩১ দিনে এবং পরের ২৫ দিনে সংক্রমণ সংখ্যা দুই কোটিতে গিয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি সেখানে আবারও দ্রুত ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত শনিবার দেশটিতে রেকর্ড ২ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যেই ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্নার তৈরি দু’টি ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে ৩০ লাখ ৪৯ হাজার জনকে দেওয়া হয়েছে এসব ভ্যাকসিন।
সূত্র: পার্স টুডে, এনডিটিভি