কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় যুবলীগের সাবেক এক নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের ফকিরজুমপাড়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ইউনিয়ন শাখা যুবলীগের আরেক নেতা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম রুহুল কাদের (৩৫)। তিনি ফকিরজুমপাড়ার মোহাম্মদের ছেলে। তিনি কালামারছড়া ইউনিয়ন শাখা যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু মানবকল্যাণ পরিষদ নামের একটি কথিত সংগঠনের মহেশখালী উপজেলা শাখার সভাপতি ছিলেন।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কোন্দলের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। তারা বলছে, রাজনীতিতে ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে গত ১৫ বছরে সেখানে ১১ জন খুন হয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ১০টার দিকে রুহুল কাদের কালারমারছড়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় বাজারের উত্তর দিক থেকে একটি অটোরিকশায় করে দুর্বৃত্তরা ফকিরজুমপাড়ায় ঢুকে রাস্তায় তাঁকে কুপিয়ে ও গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন রুহুলকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক পরীক্ষা করে জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
রুহুলের ছোট ভাই ও কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্বাস অভিযোগ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, হত্যাকারীরা একটি সন্ত্রাসী দলের সদস্য। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন সেলিম বাদশা ওরফে কানা বাদশা। তিনি তিনটি হত্যা মামলাসহ ১১টি মামলার আসামি। এক সপ্তাহ আগে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি দাবি করেন, বাদশার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় রুহুলকে হত্যা করা হয়েছে।
কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নোমান শরীফের দাবি, বাদশা বিএনপি সমর্থক পরিবারের সন্তান। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক কালের কণ্ঠকে বলেন, অভিযুক্ত বাদশা যদি যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী হয়ে থাকেন তাহলে তাঁকে বহিষ্কার করা হবে।
রুহুল কাদের হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার ওসি মো. আবদুল হাই কালের কণ্ঠকে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে কারা রুহুলকে হত্যা করেছে তা তদন্তের পর বলা যাবে।