সৌদি আরবে আজ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল পুনরায় চালু হচ্ছে। একইসঙ্গে সড়ক ও নৌপথে দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হচ্ছে। রোববার (৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় দেশটিতে পুনরায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
আরব নিউজ জানায়, যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন শনাক্তেরে পর গত ২০ ডিসেম্বর অন্য দেশ থেকে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে সব ধরনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় সৌদি সরকার। এই কয়দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আজ থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ রুখতে বেশকিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে ভ্রমণ নিষেধজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্যান্য যেসব দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে, সেসব দেশ থেকে সৌদি নাগরিক নন এমন কেউ সৌদি আরবে আসতে চাইলে কমপক্ষে ১৪ দিন অন্যকোনো দেশে অবস্থান করে তারপর সৌদি আরবে ঢুকতে হবে। এরপর ১৪ দিন পার হলে তারা করোনামুক্ত কিনা তা প্রমাণ করতে পিসিআর টেস্টের ফলাফল লাগবে।
এরপরও নতুন ধরন শনাক্ত হওয়া দেশ থেকে কেউ সৌদি আরব আসলে তাদের বাড়িতে সাত দিনের পর্যব্ক্ষেণে রাখা হবে। এছাড়া ছয় দিনের মাথায় তাদের পিসিআর টেস্ট করাতে হবে।
এছাড়া সৌদি নাগরিক যাদের মানবিক বা জরুরিভাবে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে, তাদের সৌদি আরবে এসে কমপক্ষে ১৪ দিন বাড়িতে পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। তাদের দুইবার পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। প্রথমবার সৌদি প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এবং দ্বিতীয়বার কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার ১৩ দিনের মাথায়।
এছাড়া যেসব দেশে করোনার নতুন সংক্রমণ ধরা পরেনি যেসব দেশের ক্ষেত্রে পূর্বের সতর্কতা বহাল থাকবে। তাদেরকে সৌদি প্রবেশের পর সাত দিনের বা তিন দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়াও তাদের পিসিআর টেস্ট করাতে হবে।
গত মাসে যুক্তরাজ্যে প্রথম শনাক্ত হয় করোনার নুতন স্ট্রেইন(ধরন)। করোনর এই নতুন ধরন উচ্চ মাত্রার সংক্রমিত হওয়ায় তা নিয়ে চিন্তিত বিশ্ববাসী। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ছাড়াও ফ্রান্স, সুইডেনসহ ইরোপের অন্যান্য দেশ ও জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্ডান, কানাডা এবং ভারতে এই নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, সৌদি আরবে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু দুই-ই কমেছে ব্যাপকভাবে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার সেখানে মাত্র ১০২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত নয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
দেশটিতে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৬২ হাজার ৯৭৯ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ২৩৯ জনের।