1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে ফিরে যেতে হবে: মির্জা ফখরুল ইসলামাবাদের সব মার্কেট বন্ধ ঘোষণা, বড় অভিযানের শঙ্কা শেখ হাসিনাসহ অর্ধশতাধিকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের অভিযোগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না : তারেক রহমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টারি গ্রুপের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে আবারও পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম আসছে পণ্যবাহী সেই জাহাজ বাংলাদেশ ব্যাপক শ্রম সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস তাহসানকে পেয়ে আনন্দিত শাকিব খান বিস্ফোরক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান নারায়ণগঞ্জে এয়ার ফ্রেশনার রিফিলের সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১০

ইসলামে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নির্দেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২১

মুসলিম বিশ্বাসে ইসলাম চূড়ান্ত ধর্ম ও জীবনবিধান হলেও ইসলামী শরিয়ত সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে ইসলাম মানুষকে অভিন্ন মানবিক অধিকার ও মর্যাদা দিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে মহান আল্লাহ মানবজাতিকে মানবিক মূল্যবোধ ও বিশ্বভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ, আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এক মানুষ ও এক নারী থেকে, পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সে ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে অধিক আল্লাহভীরু। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু জানেন, সব খবর রাখেন।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১৩)

মানবিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য : সব মানুষের প্রতি উদার ও মানবিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিতে শিখিয়েছে। কেননা মানুষ হিসেবে সবাই সমান। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.)-এর পাশ দিয়ে একসময় একটি লাশ নেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁকে বলা হলো, এটা তো এক ইহুদির লাশ। তখন তিনি বলেন, ‘তা কি প্রাণ নয়?’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১২৫০)

ধর্ম পালনে স্বাধীনতা : ইসলাম সব ধর্মের মানুষকে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। যদি না তা অন্য ধর্মের মানুষদের স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই। সত্যপথ ভ্রান্তপথ থেকে সুস্পষ্ট হয়েছে। যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহতে ঈমান আনবে সে এমন এক মজবুত হাতল ধরবে, যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)

সবার প্রতি ন্যায়বিচার করা : ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে কোনো মানুষ সুবিচার থেকে বঞ্চিত না হয়—এ ব্যাপারে কোরআনের হুঁশিয়ারি হলো, ‘হে মুমিনরা, আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে। কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদের যেন সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। সুবিচার করবে, এটাই আল্লাহভীতির নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করবে। তোমরা যা করো নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সম্যক খবর রাখেন।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৮)

নিরপরাধ মানুষের নিরাপত্তা : ইসলাম অপরাধী নয়—এমন সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘দ্বিনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি, তোমাদের স্বদেশ থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করবেন না। আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মুমতাহিনা, আয়াত : ৮)

জান-মালের সুরক্ষা প্রদান : যেসব অমুসলিম মুসলিম দেশে রাষ্ট্রের আইন মেনে বসবাস করে অথবা ভিসা নিয়ে মুসলিম দেশে আসে, তাদের সুরক্ষা এবং জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না, অথচ তার সুগন্ধ ৪০ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯৫)

সামাজিক সম্পর্ক রক্ষা : ইসলাম মুসলিম ও অমুসলিম সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সাধারণ সুসম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। তবে শর্ত হলো এই সম্পর্ক ঈমান ও ইসলামের পথে অন্তরায় হতে পারবে না। আল্লাহ বলেন, ‘আজ তোমাদের জন্য সব ভালো জিনিস হালাল করা হলো। যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছে তাদের খাদ্যদ্রব্য (শর্তসাপেক্ষে) তোমাদের জন্য হালাল, তোমাদের খাদ্যদ্রব্য তাদের জন্য বৈধ।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৫)

বিতর্কে সংবেদনশীল থাকা : ঈমান ও ইসলামের প্রয়োজনে কখনো অমুসলিমদের সঙ্গে বিতর্ক করতে হয়, তবে অবশ্যই ধৈর্য ও সহনশীলতা বজায় রাখতে হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা উত্তমপন্থা ছাড়া কিতাবিদের সঙ্গে বিতর্ক করবে না, তবে তাদের সঙ্গে করতে পারো, যারা তাদের মধ্যে সীমালঙ্ঘনকারী। এবং বলো, আমাদের প্রতি ও তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের ইলাহ ও তোমাদের ইলাহ একই এবং আমরা তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণকারী।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ৪৬)

জাতীয় স্বার্থে ঐক্য : রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পাঁচ মাস পর মদিনা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও পারস্পরিক সহাবস্থান নিশ্চিত মদিনায় বসবাসকারী অমুসলিমদের সঙ্গে লিখিত চুক্তি সম্পাদন করেন। যা ইতিহাসে সনদ নামে পরিচিত। সনদে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নেতৃত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। যেমন: চুক্তির প্রথম ধারায় বলা হয়, ‘বনু আওফের ইহুদিরা মুসলমানের সঙ্গে মিলে একই উম্মত বিবেচিত হবে। ইহুদি ও মুসলিমরা নিজ নিজ দ্বিনের ওপর আমল করবে। বনু আউফ ছাড়া অন্য ইহুদিরাও একই রকম অধিকার লাভ করবে।’ আট নম্বর ধারায় বলা হয়, ‘চুক্তির অংশিদারদের জন্য মদিনায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও রক্তপাত নিষিদ্ধ থাকবে।’ ১১ নম্বর ধারায় বলা হয়, ‘ইয়াসরিবের ওপর হামলা হলে তা মোকাবেলায় পরস্পরকে সাহায্য করবে এবং নিজ নিজ অংশের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করবে।’ (আর-রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা ২০০)

আল্লাহ সবাইকে সম্প্রীতি, সহমর্মিতা ও সংবেদনশীলতা দান করুন।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব