টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন নুরুল আবছার পারভেজ (৩৫) নামে রিয়াজউদ্দিন বাজারের এক ব্যবসায়ী।
তিনি (নুরুল আবছার) ও প্রতারিত অপর গ্রাহক মোর্শেদ সিকদার এবং মাহমুদুল হাসান খানের পক্ষে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে মামলাটি হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন, ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা, কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান রাসেল।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ যুগান্তরকে বলেন, ‘ই-অরেঞ্জ সারা দেশে লাখ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমরা চট্টগ্রামের প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। প্রধানমন্ত্রী দুদিন আগে প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাব।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৭ মে’র পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন গ্রাহকরা। নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক মাস পরও তাদের কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
অর্ডার নেওয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়। কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশের প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আÍসাৎ করেছে।