বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে হিন্দুস্তানের দালাল ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র-এর এজেন্ট কেন বলছেন তা জানতেই মুফতি ইব্রাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিবি উত্তরের যুগ্ম-কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।
আজ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তরের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মুফতি কাজী ইব্রাহিম করোনাভাইরাস নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন। সম্প্রতি করোনার ভ্যাকসিন নিয়েও তার বিভিন্ন বক্তব্য ভাইরাল হয়। তিনি ফেসবুক ও ইউটিউবসহ তার ওয়াজে উল্টাপাল্টা কথা বলে আসছেন। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক বক্তব্য দিতে না পারেন তার বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, গত রাতেও ফেসবুক লাইভে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে হিন্দুস্তানের দালাল ও র-এর এজেন্ট বলে প্রচার করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় করোনা নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার ও ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করেছেন, যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক হচ্ছে। সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক বক্তব্য দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুফতি কাজী ইব্রাহীম ফেসবুক, ইউটিউবসহ তার ওয়াজে বিতর্কিত নানা বক্তব্য দিয়ে আসছেন। যেসব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তার বাসায় ডিবি পুলিশের অভিযানের সময় ফেসবুক লাইভে এসে র-এর এজেন্ট, গুন্ডা ডিবি পুলিশ তার বাসা ঘেরাও করেছে বলে অভিযোগ তুলে ২০ মিনিটের বেশি সময় লাইভে কথা বলেন মুফতি কাজী ইব্রাহীম।
পরে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবির একটি দল।