কনে দেখতে গিয়ে পাত্রী পছন্দ হওয়ায় উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে হয়। ওই রাতেই বাসরও হয়। কিন্তু তুচ্ছ ঘটনায় ফেনীর দাগনভুঞার রাজাপুর ইউনিয়নের জয় নারায়ণপুর গ্রামের ইফতেখার উদ্দিনের (৩০) বাসরঘরের পরদিনই বিয়ে ভেঙে যায়।
জানা গেছে, ফেনীর পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে সাহেদা আক্তার রিয়াকে দেখতে যান সার্জেন্ট (অব.) দাগনভুঞার রাজাপুর ইউনিয়নের জয় নারায়ণপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে ইফতেখার উদ্দিন।
মেয়ে পছন্দ হয়ে যাওয়ায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে ২৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়।
বিয়ের পরদিন ২৫ ডিসেম্বর ছাগলনাইয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে গেট এবং স্টেজ না দেয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে বরপক্ষের লোকজন চেয়ার টেবিল, গ্লাস, কাচের বোতল ও প্লেট ভাংচুর করলে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সংঘর্ষে বর ইফতেখারসহ তার পিতা সার্জেন্ট (অব.) শাহাবুদ্দিন, মা রহিমা খাতুন, বোন উম্মে সালমা, উম্মে আসমা, ভগ্নিপতি কাজী আবদুর রহিম, ডাক্তার জিয়াউদ্দিন, বোনের শ্বশুর ওয়ালী উল্যাহ, বড়ভাই সালাউদ্দিন, ভাগিনা কাজী আবদুল মজিদ, কনের মামা আবুল কালাম, খালাতো ভাই আনোয়ার হোসেন ও মামা মানিকসহ প্রায় ১৫ জন আহত হন। আহতরা ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
পরে এ ঘটনার দায় পাত্রপক্ষের ওপর চাপিয়ে বিয়ে ভেঙে দেন কনের পিতা আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, বিয়ের পরদিনই তাণ্ডব চালিয়েছে বর ও তার পিতাসহ পরিবারের সবাই। এমন পরিবারে তার মেয়ে সুখী হবে না। এজন্য বিয়ে ভেঙে দিয়েছি।