মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা নতুন বাজার এলাকার ইছামতী নদীতে খেয়া ঘাটের নৌকা চালিয়ে সংসার চালানো সংগ্রামী সেই নারী চপলা রানী দাসের পাশে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইরাদ কোরাইশি ইমন এবং মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাদ কোরাইশি সুমন।
জানা যায় বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন মির্জার মাধ্যমে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি ডাল,২ কেজি লবণ, ২ কেজি তেল, ২ কেজি চিড়া, ২ কেজি চিনি,২ কেজি মুড়ি, ২ কেজি আলু, ৩ কেজি আটা, ২ টি সাবান, ১০ পিচ মাস্ক, ২ কেজি পিয়াজ ও বিস্কুটসহ এক বস্তা খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে উপজেলার ঝিটকা নতুন বাজার থেকে গোপীনাথপুর বটতলা ঘাটে (মনোপীরের মাজার সংলগ্ন) ইছামতী নদীতে মানুষ পারাপার করে চলছেন এই চপলা রানী দাস। সে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত সুবাস চন্দ্র দাসের স্ত্রী।
জীবন যুদ্ধে সংগ্রামী সাহসী নারী চপলা রানী দাসকে স্থায়ী একটা ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাসও জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাদ কোরাইশি সুমন। তিনি মুঠোফোনে আরও জানান, চপলা রানী দাসকে নিয়ে গণমাধ্যমে কয়েকটি প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইরাদ কোরাইশি ইমন এবং আমার নজরে আসায় আপাততঃ আমরা চপলা রাণী দাসের জন্য এক বস্তা খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছি। তার সাথে ফোনে কথা বলেছি এবং তার জন্য স্থায়ী একটা ব্যবস্থাও করার চেষ্টা করছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন মির্জা বলেন, ইমন ভাই এবং সুমন ভাইয়ের পাঠানো খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ২৪ আগস্ট এই খেয়া ঘাটের মাঝি চপলা রানী দাসকে নিয়ে জাতীয় ‘এই আমার দেশ’ সহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। নিউজের পরের দিনই হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম এক বান্ডিল টিন এবং নগদ ৮ হাজার টাকা দিয়ে চপলা রাণী দাসকে সহায়তা করেন।