মনোয়ার বাবু (ঘোড়াঘাট) দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে পাচার হওয়ার ২৪ ঘন্টা পর ঢাকার আশুলিয়া থেকে ১৬ বছরের এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ পাচারকারী দলের এক নারী সদস্যসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে স্বল্প সময়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করায় খুশি পরিবার, অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় এসআই জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাদেরকে আটক করে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেওয়ানপাড়া গ্রামের শাহিন ফকিরের মেয়ে রোখসানা আক্তার (২০) ও দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আল আমিনকে (২৬)।
মেয়ের চাচা সোনা মিয়া জানান, মামার বাড়িতে যাওয়ার সুবাদে আমার ভাতিজির সাথে সম্পর্কে গড়ে তোলে রোখসানা। সে আমার ভাতিজিকে ফুসলিয়ে পাচার করার জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়। আমরা পরে বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করি। অভিযোগ করার ফলে আজ আমাদের ভাতিজিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জানান, গেল ১৬ আগস্ট সোহাগীর চাচা ঘোড়াঘাট থানায় এসে ভাতিজিকে পাচার করা হয়েছে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশের একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার আশুলিয়া নামক এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এসময় পাচারকারী দলের দুইজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মানবপাচার আইনে মামলা দ্বায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) তাদেরকে দিনাজপুর আদালতে প্রেরণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, আটক রোখসানা সঙ্ঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধেও কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক কিছু তথ্য পেয়েছি, যা আমরা খতিয়ে দেখছি। এদের সঙ্গে যারা জড়িত থাকুক না কেন তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত চলমান রয়েছে।