করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করার পর প্রথম দিন গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীতে গণপরিবহন চালু হয়েছে। প্রথম দিনেই বাস, ট্রেন, লঞ্চ-ফেরিতে ছিল তীব্র ভিড়। একই অবস্থা চলছে আজ শুক্রবারও।
ঈদযাত্রার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গণপরিবহনের তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনায় প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট দেখা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঊষা জুট মিল পর্যন্ত মহাসড়কের দুইপাশে অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটে আটকা পড়েছে শত শত যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ। যানজট নিরসনে সকাল থেকে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। তাদের দাবি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম মুখি পরিবহনের অতিরিক্ত চাপ ও পথচারীরা মহাসড়ক পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করায় এ যানজট সৃষ্টি হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও আরিচা, গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ ছিল। সেই চাপ অব্যাহত আছে আজও।
একই কারণে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজও দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ। সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হতে থাকেন। তাদেরকে দেখা যায় ফেরি ও লঞ্চযোগে পদ্মা পার হতে। লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিকাংশ লঞ্চে অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। এতে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৬ শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক। বাড়তি গাড়ির চাপে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনে আসা যাত্রীদেরও নদী পারাপারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ।
সরজমিনে দেখা যায়, লঞ্চঘাটে শতশত যাত্রীদের ঢল। ফেরিঘাটের অভিমুখে পার্কিং ইয়ার্ডে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী ছোট-বড় শতশত গাড়ি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে। এতে অপেক্ষারত যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে এই ঘাটে ১৩টি ফেরি ও ৮২টি লঞ্চ সচল রয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়াঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কমেছে। তবে গণপরিবহন ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাকে পারপারে বেগ পেতে হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব যানবাহন পারাপার করা হবে বলে জানান তিনি।