1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

‘আত্মহত্যা নয়, সুমাইয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়’

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

গত বছরের ৩১ অক্টোবর গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার ভেরেন্ডা এলাকার একটি বাসা থেকে কিশোরী সুমাইয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। আত্মহত্যা মনে করে এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করে পুলিশ। ময়নাতদন্তে চিকিৎসক সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার আলামত পায়। গত ৩ জুলাই আত্মহত্যার মামলাটি ‘হত্যা ও ধর্ষণ’ মামলায় রূপান্তর হয়। পরে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় গাজীপুর পিবিআই।

মঙ্গলবার রনি ও সাঈদ নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে সুমাইয়া আত্মহত্যা রহস্য উদঘাটন করে। প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা হাত-পা বেঁধে সুমাইয়াকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে। জানাজানি হওয়ার ভয়ে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।

ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে কিশোরীর গলায় রশি বেঁধে লাশ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।

গ্রেপ্তার সাঈদ ইসলাম (১৯) নীলফামারী জেলার ডোমার থানার চিলাহাটি মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত নবির উদ্দিনের ছেলে এবং রনি মিয়া (২১) একই জেলা সদরের তিস্তা চৌরাটারি এলাকার মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে।

পিবিআই-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, কাশিমপুরের বারেন্ডা পশ্চিমপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াবাসায় ভাড়া থাকত সুমাইয়া খাতুন (১৫)। একই বাসায় পাশের রুমে ভাড়া থাকত রনি। রনির বন্ধু মিলন, হাসান ও সাঈদ কাছেই ভাড়া থাকত। সুমাইয়ার সঙ্গে মিলনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রনি এবং সাঈদও তাকে পছন্দ করত। তারা বিভিন্ন সময় সুমাইয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। একপর্যায়ে রনি ও সাঈদ ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরে কৌশলে রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে। গাজীপুর আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব