যশোরের শার্শায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই জসিম উদ্দিন (৩০) খুন হয়েছে বলে ধারণা করছে প্রতিবেশীরা।
শুক্রবার (৯ জুলাই) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে শার্শা উপজেলা জিরানগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি রবিবার সকালে জানাজানি হয়। নিহত জসিম উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বড় ভাই আব্দুর রউফ, ভাবী লিপি বেগম ও ভাতিজী সাদিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করে থানায় এনেছে।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, নিহত জসিম সহজ-সরল ভালো ছেলে ছিল। সে ওই গ্রামে কৃষি কাজ করতেন। সে ছিল অবিবাহিত। দীর্ঘদিন ধরে বড় ভাই আব্দুর রউফ বিদেশে থাকতেন। সম্প্রতি বাড়ি আসার পর পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন।
জসিম বড় ভাইয়ের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। ছোট ভাই জসিম বড় ভাইয়ের কাছ থেকে জমির ভাগ চাইলে এনিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে আব্দুর রউফ তার স্ত্রী লিপিকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যরাতে জসিমকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। রবিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে তারা জানায়, বাথরুমে যাওয়ার সময় পড়ে মৃত্যুবরণ করেছে। নিহত জসিমের নাকে, মুখে এবং গলায় অনেকগুলো নখের আঁচড় দেখা যায়। স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শনিবার বিকালে লাশ দাফন করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বড় ভাই আব্দুর রউফ বলেন, গত রাতে দোকান থেকে বাড়ি এসে প্রস্রাব করার জন্য জসিম বাইরে গেলে সেখানে বাঁশের কঞ্চির ওপরে পড়ে যায়। সেখান থেকে নাকে, মুখে এবং গলায় দাগ হয়।
ওই গ্রামের ইউপি মেম্বারকে এম হাসান আলী বলেন, কিছু দিন যাবৎ দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদের ঘটনা ঘটে। মৃত জসিম আমার কাছে অভিযোগটি জানায়। আমি ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে শনিবার এক জায়গায় বসে মিমাংসা করার কথা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা আর হলো না। অবশেষে শনিবার সকাল হলে শুনতে পাই জসিম মারা গেছে।
নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান ও শার্শা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তিনজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই মুহূর্তে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের পর সব কিছু জানাতে পারব।