করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষ লকডাউন চলায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে ক্যাশ সার্ভার পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। রবিবার (৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বিবৃতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার গত ৬ জুন প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য ও নিরবচ্ছিন্ন করতে ‘এক দেশ এক রেট’ ঘোষণা করেছিল। ঘোষণায় সর্বনিম্ন গতি ৫ এমবিবিএসের জন্য সর্বোচ্চ মূল্য পাঁচশত টাকা নির্ধারণ করে। যদিও ব্রডব্যান্ডের সর্বনিম্ন গতি হবার কথা ১০ এমবিপিএস। তবুও সরকারি এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিল সাধারণ গ্রাহকরা ও প্রান্তিক পর্যায়ের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। কিন্তু এর পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে সাধারণ আইএসপি ও প্রান্তিক পর্যায়ের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা ক্যাশ সার্ভার তুলে নিয়ে মোবাইল অপারেটর, আইআইজি, এনআইএক্স ও ন্যাশনওয়াইড আইএসপিদের কাছে ১২৯টি ক্যাশ সার্ভার রাখার অনুমতি দিয়েছে বিটিআরসি।
বিবৃতি বলা হয়, এই সিদ্ধান্তকে চরম বৈষম্য বলে এরই মধ্যে ক্ষুদ্র আইএসপি ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে সারা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহক; এমনকি ঢাকা শহরে থাকা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকরাও অভিযোগ করছে, ইন্টারনেটের গতি কমে এখন এক এমসবিপিএস বা তারও কম পাওয়া যায়। আবার ক্ষণে ক্ষণে নেটওয়ার্ক চলে যাচ্ছে। অভিযোগগুলো নিয়ে স্থানীয় ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে গ্রাহকদের চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতেও দেখা গেছে।
মহিউদ্দিন আরো বলেন, বর্তমান করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে নাগরিকদের ঘরে থাকতে থাকতে বলছে। ফলে ঘরে বসে যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে নাগরিকের সমস্ত জীবন জীবিকার কাজকর্ম করার কথা, ঠিক তখন ইন্টারনেটের বেহাল দশা নাগরিক জীবনে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করছে।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে নাগরিকদের ঘরে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনাকাটার কথা বলছে সরকার। কিন্তু মানসম্পন্ন সেবা ও নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রার্থীদের সার্ভারের বিকল্প নেই। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্যাশ সার্ভার পুনর্বহালের অনুরোধ করছি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাতীয় কমন নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।